Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’: গণপিটুনির শিকার সেই তরুণ চিকিৎসাধীন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৮

খুলনা মহানগর উপকমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলামের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: সারাবাংলা

খুলনা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ‘কটূক্তি’ করায় খুলনায় উৎসব মণ্ডল (১৮) নামের এক তরুণ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও সকালে পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোর খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খুলনা শহরে।

বিজ্ঞাপন

খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বুধবার মধ্যরাতে বলেন, উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।

ওই সময়ই গণপিটুনিতে উৎসব মণ্ডলের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশও তার মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। সকালে জানা গেছে, ছেলেটি গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

উপকমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন বলে জানতে পেরেছি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, পিটুনিতে আহত উৎসবের চিকিৎসা চলছে। তবে তাকে কোথায় ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরও (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ওই তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র উৎসব মন্ডল ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন শুনে সন্ধ্যায় স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী তাকে ধরে নিয়ে খুলনা মহানগর উপকমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলামের কার্যালয় নিয়ে যান। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী ও নৌ বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। উৎসবকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় মসজিদের মাইকে তার নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সারাবাংলা/টিআর

খুলনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর