Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজিবি-ছাত্র-জনতার সাঁকো নির্মাণ, দুর্ভোগ কমলো ৮ গ্রামের মানুষের

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৭

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর ওপর বিজিবি ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ কমেছে আট গ্রামের মানুষের। প্রায় ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ছয় ফুট প্রস্থের সাঁকোটির নির্মাণ কাজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে। ওই দিনই বিজিবি ও ছাত্র-জনতা ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এতে করে গ্রামবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সাধারণ মানুষ হাট-বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার করত। চরম দুর্ভোগে ছিল এলাকার সাধারণ মানুষ। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়েছেন।

এর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটা সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানিতে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে গয়টা পাড়া গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা দিয়ে চরম দুর্ভোগে পারাপার হতেন। দুই পাড়ের আটটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এদিক দিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এই জনপদের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসী স্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

যাতায়াতে জনদুর্ভোগ কমাতে জামালপুর ব্যাটা‌লিয়ন-৩৫ বি‌জি‌বির অধীনে গয়টাপাড়া বি‌জি‌বি ক্যাম্পের সদস্যরা এবং ছাত্র-জনতা মিলে ওই নদী‌র ওপর এক‌টি বাশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এলাকার ছাত্র-জনতা ও ‌বি‌জি‌বির সা‌র্বিক সহ‌যো‌গিতায় ক্ষুদ্র যানবাহন এবং এলাকাবা‌সীর চলাচ‌লের জন্য বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় শিক্ষার্থী পারভেজ মোশারফ বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার সার্বিক সহযোগিতায় সাঁকো নির্মাণ করা হলো। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

গাড়ি চালক মায়নুল বলেন, আগে নৌকা দিয়ে পারাপার অসম্ভব ছিল। সাঁকো নির্মাণ করায় যাত্রী পারাপারের সুবিধা হয়েছে।

গয়টাপাড়া বি‌জি‌বি ক্যা‌ম্পের না‌য়েব সু‌বেদার এবি সি‌দ্দিক বলেন, জনসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে দুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মনছুরুল হক বলেন, আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, এলাকাবাসী আবেদন দিলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

সারাবাংলা/এনইউ

কুড়িগ্রাম ছাত্র-জনতা বিজিবি রৌমারী সাঁকো


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর