খুলনায় সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১২
খুলনা: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খুলনার রূপসা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে। এতে সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষের। এছাড়া প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কটির দুই পাশে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্পকারখানা রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপসা খেয়াঘাটের পূর্বপারে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর সমাধি কমপ্লেক্সের ঠিক পাশ দিয়ে রূপসা সেতুর দিকে চলে যাওয়া সড়কটিই বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়ক। বীরশ্রেষ্ঠের নামের এই সড়কটি প্রায় ২০ বছর আগে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তবে সড়কটি দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় পিচের চিহ্নমাত্র নেই। নেই খোয়া, বেরিয়ে এসেছে মাটি। অসংখ্য ছোট ছোট গর্তের পাশাপাশি আছে ভয়ংকর সব বড় গর্ত। সড়কের নানা জায়গায় কাদাপানি জমে আছে।
ভ্যানচালক আরমান আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাস্তাটার অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই। বালু ও মাছের ট্রাকসহ সবধরনের ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’
বয়োবৃদ্ধ রাবেয়া খাতুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরায় খুব কষ্ট হচ্ছে। রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে একদিন যানবাহনে চলাচল করলে গায়ের ব্যাথায় বিছনা থেকে উঠতে পারিনা। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
পিকআপ চালক কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই রাস্তায় পিকআপ চালানো খুব কষ্টকর। অনেক সময় গর্তে পরে চাকার এক্সেল ভেঙে যায়। এছাড়া সপ্তাহে দু-একবার গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে মিস্ত্রির শরণাপন্ন হতে হয়। বারবার করতে হয় মেরামত, পাল্টাতে হয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। খরচ হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এতে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়।’
এসব বিষয়ে রূপসা উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সড়কটির বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থা। বালু ব্যবসায়ীরা সড়কটি ধ্বংস করে ফেলেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
সারাবাংলা/এনইউ