‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯
ঢাকা: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রবিবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশকে আমরা বন্ধু হিসেবে জানি। কিন্তু সেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে কথা বললেন; আমি জানি না তার উদ্দেশ্য কী। তার দেশের নিরাপত্তা, তার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে শান্তিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশকে গাজার সাথে তুলনা করা, ইসরাইলের সাথে তুলনা করা, ইউক্রেনের সাথে তুলনা করে তারা ঠিক করেনি। ভারতের থেকেও বাংলাদেশ অনেক দিক থেকে নিরাপদ এবং শান্তিতে রয়েছে।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অনতিবিলম্বে আমাদের সেনাবাহিনীকে অর্ডার দেওয়া হোক, তারা যেন তৈরি থাকে। দেশবাসীকে সংগঠিত করে এই দেশের পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনী এবং জনগণ সংগঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন যেভাবে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা এনেছিল, তেমনিভাবে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে।’
দুদু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নূন্যতম মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ আমাদের ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সন্তানরা, আমাদের তরুণ সমাজ তাদের জীবন উৎসর্গ করে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটা রক্ষা করতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রবিরোধী ভূমিকা পালন করেছে, ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে, নেতাদেরকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা বাংলাদেশের টাকা লুট ও পাচার করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে।’
দুদু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, লুটপাট এবং দখলবাজি হচ্ছে। বিএনপিকে বদনামের ভাগীদার করার জন্য কিছু মানুষ বিএনপি এবং ছাত্রদল সেজে এগুলো করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা যেখানেই দেখা যাবে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। আইনের মাধ্যমে তার বিচার হবে। আমাদের মহাসচিবও একই নির্দেশ ও ঘোষণা দিয়েছে।’
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, ন্যাশনাল কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইকবাল হাসান স্বপন, কৃষকদলের নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মীর মমিনুর রহমান সুজন, আমির হোসেন বাদশাসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ