Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুবককে তুলে নিয়ে পায়ে গুলি, সাবেক ওসিসহ ১৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৪

যশোর: যশোরে যুবককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি ও মুক্তিপণ না দেয়ায় পায়ে গুলি করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি শহিদুল ইসলাম, টিএসআই রফিকসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন পঙ্গুত্ববরণকারী যুবক সালমান সিকদার ভিকির বাবা শহরের আর রোডের বাবু শিকদার।

মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন-থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, চাঁচড়া ফাড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন, এসআই মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এটিএসআই আবু বক্কর সিদ্দিকি, পুলিশ কন্সটেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ সজীবুল, আব্দুল আলীম, জিন্নাত আলী, তারেক ও সোহাগ।

অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া কোতোয়ালি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী তানজিন নূর পূর্বাশা।

তবে এই মামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই শোয়েব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমি কখনোই জড়িত ছিলাম না। ঘটনার সময় আমি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ছিলাম। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি নিয়মের মধ্যে থেকে পালন করার চেষ্টা করেছি।

একই দাবি করেছেন মামলার অপর অভিযুক্ত এসআই জামাল উদ্দিন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে সালমান সিকদার ভিকি তার ব্যবসায় সাহায্য করতেন। ২০১৪ সালের ১৫ জুন বিকেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। এমন সময় এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভিকিতে আটক করে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান। এসময় বাদীকে চাঁচড়া ফাড়িতে যেতে বলেন। বাদী ফাঁড়িতে গেলে তার সামনেই ভিকিকে ব্যাপক মারপিট করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখান আসামিরা। এসময় বাদীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় ভিকিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে জানান আসামিরা।

এসময় বাদী ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। এক পর্যায় তিনি ১০ লাখ টাকা ম্যানেজ করে আসামিদের হাতে দেন। এরপর ফের বাকি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেয়ায় তার ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে চলে যান আসামিরা। এরপর রাত ১০টার পর চাঁচড়া কবরস্থানের পাশ থেকে ভিকির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে। এসময় দেখতে পান আসামিরা বাদীর ছেলের পায়ে গুলি করেছে। পরে ভিকিকে প্রথমে যশোরে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। একপর্যায় ভিকির বাম পা কেটে বাদ দিতে হয়। এরপর থেকেই ভিকি পঙ্গুত্ব বরণ করে। এরপরও ভিকির নামে দুইটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে বাদী কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে বাদীকেও ক্রসফায়ার ও হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। সরকার পতনের পর পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় ঘটনার ১০ বছর পর তিনি আদালতে এ মামলা করেন।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ যশোর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর