থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, হাসপাতালে ভর্তি ওসি
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১২
চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরে দু’পক্ষের একটি ঘটনা তদন্তকে কেন্দ্র করে থানায় ঢুকে এসআই আব্দুস ছামাদকে লাঞ্ছিত করেছে একদল শিক্ষার্থী। অশোভন আচরণের কারণে মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পর থেকে থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে এক নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ওই নারীর মেয়ের সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় পুলিশের সামনেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি কর্মী-সমর্থক ও শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে একদল ছাত্র চাঁদপুর মডেল থানায় ছুটে যায়। ওসি আলমগীর হোসেনের সাথে তাদের আলোচনা হয়। পুলিশ তাদের আটক করার জন্য অভিযানে বের হলেও তারা পালিয়ে যায়। ফের ছাত্ররা মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর থানায় এসে একই বিষয় নিয়ে হট্টগোল করেন।
এ ঘটনার পর এক ভিডিওতে দেখা যায়, মডেল থানার প্রধান দরজার সামনে ওসি আলমগীর হোসেনকে ঘিরে ধরে হট্টগোল করছে কিছু শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে থানার ভেতর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুস ছামাদকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বাইরে বের করে আনা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হয়। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করার চেষ্টাও করতে দেখা গেছে।
একপর্যায়ে ওসি আলমগীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। খবর পেয়ে দ্রুত থানায় ছুটে আসেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্র জানায়, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় সোমবার বিএনপি নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু শিক্ষার্থী থানার ওই তদন্ত কর্মকর্তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের একাংশ থানায় এসে এসআই আব্দুস ছামাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় কয়েকজন যুবক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, ‘আপনি আমার বাবার বয়সী। ছেলের মতো মনে করে ক্ষমা করে দিন।’
থানার ওসির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আসিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ওসি সাহেব অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তার রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সমস্যা হলে সমাধানও রয়েছে। তবে পুলিশ বাহিনীকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
সারাবাংলা/এমও