জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণ, আরও ২ জনের মৃত্যু
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪
ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও বরকতুল্লাহ (২৩) নামে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে ছয়জনের মৃত্যু হলো।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও বরকতুল্লাহ (২৩)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তারা মারা গেছেন। এ ঘটনায় এর আগে মারা গেছেন জাহাঙ্গীরের ভাগিনা খায়রুল শেখ (২১), আহমেদ উল্লাহ (৩৮), আল আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৬)।
ডা. তরিকুল জানান, বর্তমানে আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ ও আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মৃত জাহাঙ্গীরের জামাতা নিয়ামত আলী জানান, তার বাড়ির পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পূর্ব বেটকা গ্রামে। সীতাকুণ্ডের ওই শিপইয়ার্ডে তেলের ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন জাহাঙ্গীর। বিস্ফোরণে তার শরীরের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে তাকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল।
আর মৃত বরকতউল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। বাবার নাম আইয়ুব আলী।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ
কারখানায় বিস্ফোরণ জাহাজভাঙা কারখানা দুইজনের মৃত্যু সীতাকুণ্ড