Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার না হলে ফের মাঠে নামতে হতে পারে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৪

ঢাকা: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সম্পন্ন না হলে ছাত্র-জনতাকে ফের মাঠে নামতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি’ আয়োজিত ‘জনগণের প্রত্যাশা, অন্তর্বতীকালীন সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার যে সংস্কার করতে চায়, তার জন্য ধৈর্য ধারণ করে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত। তবে সরকারকেও ভাবতে হবে, সে সময় যেন সীমাহীন না হয়। তা না হলে ছাত্র-জনতার আবারও মাঠে নামতে হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মধ্যে নতুন চেতনা জেগেছে। ফলে বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করা দরকার। বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই। আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদেরই কাজ করতে হবে। আত্ম সমালোচনার পাশাপাশি নিজেদের আচরণে সংস্কার আনতে হবে।’

মঈন খান বলেন, ‘ভিন্নমত না থাকলে গণতন্ত্র আসে না। গত ১৬ বছর আমরা এই ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারিনি বলেই দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। পরিশেষে স্বৈরাচার সরকারের পলায়নের মাধ্যমে আমরা ফের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, এটা কাজে লাগাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারাই দেশ শাসন করেন, ভিন্নমতের গুরত্ব স্বীকার করে নিলে রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে আজ যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, সেখানে সরকারের আইনের বাধ্যকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। কারণ, এ সরকার ব্যার্থ হলেই দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার যদি ভুল করে তাহলে সবাই মিলে ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে পরামর্শ দেওয়া উচিত। এমন কিছু করা যাবে না, যেন যে চেতনায় অভ্যুত্থান হয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্রের কাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতার সংস্কার এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৭২ সাল থেকেই এ দেশে দুঃশাসনের একটি চক্র চলছে। একটি দল ক্ষমতা থেকে হটে গেলে আরেকটি দল ক্ষমতায় আসবে, এমন ধারণা কোনো দল করলে তাহলে দেশ আবারও সেই চক্রেই পড়বে। যেই ব্যবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনার সরকার ছিল, সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এগুলো আর কোনোভাবে দেখতে চাই না। সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়েছে। এর অর্থ সরকার এতদিন হোমিওপ্যাথি দিয়েছে, এখন সেনাবাহিনীকে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করছে। সরকারের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে।’

সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বলছে, তবে সেটা কতদিন জানতে হবে। সবার মনে প্রশ্ন আছে, অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন সংস্কার করবে, সেটাও তাদের ক্লিয়ার করা এই মুহূর্তে জরুরি। এই সরকারের সমালোচনা করতে হবে, তা না হলে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মতো তারাও সব নিজের ভাবতে শুরু করবে।’

দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন রোকসানা খন্দকারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির তানিয়া রব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, জয়যাত্রার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহমুদা মুন্নী প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ ড. মঈন খান বিএনপি যৌক্তি সময় সংস্কার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর