ঢাকা: বেগুন, শিম, শসা, ঢেঁড়স, পটল ও বাঁধাকপিসহ ৯টি সবজিতে লেড, ক্রোমিয়াম ও ক্যাডমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ভারী ধাতুর উচ্চ মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর মাত্রায় ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে লালশাকে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় ৯টি সবজিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি ও চারটি ফলে কীটনাশকের নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
এতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া, বিএফএসের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোয়েব বক্তব্য দেন। গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন প্রধান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া।
গবেষকরা জানান, যেসব সবজিতে ভারী ধাতু রয়েছে সেগুলো দীর্ঘদিন খেলে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, টমেটো, লালশাক, পটল, বাঁধাকপি, শসা এবং শিম দেশের কয়েকটি জেলার বাজার থেকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, লালশাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু পাওয়া গেছে। যেখানে ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা ১৯০ মাইক্রো গ্রাম প্রতি কেজি, সেখানে লালশাকে পাওয়া গেছে ৭০৪.৩২ মাইক্রো গ্রাম প্রতি কেজি। বেগুনে পাওয়া গেছে ২৭৫.৬৬ মাইক্রো গ্রাম প্রতি কেজি, ঢেঁড়সে ৩৪৯ মাইক্রো গ্রাম ও টমেটোতে ১৯৫ মাইক্রো গ্রাম প্রতি কেজি।
ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ উপস্থিতি পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা থেকে।
একইভাবে ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে শিম, শসা, ঢেঁড়স, পটল ও লালশাকে। লেডের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেগুন, বাঁধাকপি, শিম, শসা, ঢেঁড়স, পটল, টমেটো ও লালশাকসহ ৯টি সবজিতে।
এদিকে আম, লিচু, বড়ই ও পেয়ারার ৩২০টি নমুনায় কীটনাশক রেসিডউ পরীক্ষা করে গড়ে ১০ শতাংশের মধ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।