সাবেক বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৫
ঢাকা: বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিএফআইইউ প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির কারণে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিমাদ্রী লিমিটেডের স্থগিত ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া তানাকা গ্রুপ, এসএ গ্রুপ ও আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অর্থ পাচারসংক্রান্ত সুনিশ্চিত তথ্য থাকা সত্ত্বেও ঘটনাগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নথিভুক্ত করিয়েছেন।
একইভাবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ ব্যাংক থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদনকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন না দিয়ে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন বলে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে আরও বলা হয়, মাসুদ বিশ্বাস ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বড় বড় শিল্প গ্রুপের আর্থিক অনিয়ম ধামাচাপা দিয়েছেন। এসব আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে তিনি দেশে-বিদেশে অঢেল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন।
দুদকের অভিযোগে আরও বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ তুলে বিদেশে পাচার; আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিদেশে অর্থপাচার ও ঘুষের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বিএফআইইউয়ের এই কর্মকর্তা স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনস লিমিটেডের উড়োজাহাজ কেনাকাটায় সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ ঘুষের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে না পাঠিয়ে অভিযোগটি পরিসমাপ্তি করিয়েছেন।
দুদক জানায়, মাসুদ বিশ্বাসের অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে গোপন সূত্রের তথ্যের বরাতে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর