Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুয়াতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, নিখোঁজ ২ শতাধিক


৬ জুন ২০১৮ ২০:৪৬

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক মানুষ।

বুধবারও (৬ জুন) সেখানে নিয়মিত বিরতিতে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পূর্বের থেকে এখনকার বিস্ফোরণগুলো আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক ছাই উড়ে আসছে। যার কারণে নিকটবর্তী স্থানগুলোতে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে।

দেশটির জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা, আগ্নেয়গিরি, আবহাওয়াবিজ্ঞান ও হাইড্রোলজি বিভাগের যৌথ বিবৃতিতে জনগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ছাই, আগ্নেয় গ্যাস এবং পাথরের মিশ্রণ লাভার চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির দক্ষিণাংশের বাসিন্দাদেরকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

দেশটির একটি টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলনে ডিজাস্টার রিলিফ এজেন্সির পরিচালক ইডি স্যানজেজ বলেছেন, অবস্থা এখন খুবই মারাত্মক। মঙ্গলবার হঠাৎ করে বড় বিস্ফোরণ শুরু হলে কিছুক্ষণের জন্য সব ধরনের উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রাখা হয়েছিলো। এসময় পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও উদ্ধারকর্মীরা কর্মস্থল ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। কিছু কিছু বিস্ফোরণের লাভা উপরে ১৬ হাজার ৪০৫ ফুট উপরে উঠেছে।

রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে গত রোববার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। তিন দিনের টানা বিস্ফোরণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। বহু হতাহতের পর চলছে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। এস্কুউনটলা, কাটেপেকুয়েজ ও চিমাল্টেনাঙ্গো বিভাগে ১৭ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ জনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গুয়াতেমালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা সার্গিও কাবানাস বলেন, ‘এখনও বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আমরা তাদের সঠিক সংখ্যা জানি না। উত্তপ্ত লাভা এতো দ্রুত ওই পার্বত্য পাদদেশের বাসিন্দাদের কাছে চলে আসে যে ঘটনার আকস্মিকতায় তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। অনেকে তাদের বাড়ির আশপাশে মরে পড়ে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, রোববার দ্রুতগতিতে আসা গলিত লাভা থেকে যারা পালিয়ে যেতে পারেননি তাদের সবাই মারা গেছেন। উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

সান মিগুয়েল লস লোটেস গ্রামের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে অন্তত তিনটি পুড়ে যাওয়া লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামটিতে উদ্ধারকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এক সঙ্গে কাজ করছেন। উত্তপ্ত কাদা ও ছাইয়ের মধ্যে অসংখ্য কুকুর, মুরগি ও হাঁসের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

সারাবাংলা/এমআইএস

আরও পড়ুন..

গুয়াতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫

গুয়াতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে ২৫ জনের প্রাণহানি, জরুরি অবস্থা জারি

আগ্নেয়গিরি গুয়াতেমালা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর