বৈরী আবহাওয়া থাকতে পারে আরও ২ দিন
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৮
ঢাকা: বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির তীব্রতা কমেছে আজ সকালে। তবে বৃষ্টির কারণে পানি জমে রাস্তায় যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তা ভোগান্তি বাড়িয়েছে কর্মজীবীদের। যানবাহন পাওয়া তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলার পরিস্থিতিও নেই রাস্তা কিংবা ফুটপাতে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এই বৈরী আবহাওয়া থাকতে পারে শনিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত। যে কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারও (৩ অক্টোবর) দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে ঝড়- বৃষ্টি থাকতে পারে।
আবার শুক্রবারও (৪ অক্টোবর) ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ওইদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা বলছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে আরেক পূর্বাভাস বার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহের শেষ দিনে অফিস করতে গিয়ে এক রকম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা। সকালেও রাজধানীর অনেক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। রাত ও সকালের বৃষ্টি মিলিয়ে সকালেও সড়ক ও অলি গলিতে পানি জমে গেছে। পানি জমে ছিল বেসমেন্টেও। এ জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককে।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ