শিক্ষকের লাশ এখনো বুঝে নেয়নি পরিবার, হয়নি মামলা
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪০
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বিভিন্ন দোকান পাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ছোট-খাটো যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে দোকান পাট। বাজারে পাহাড়ি-বাঙালীর উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের উপস্থিতি কম বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পরে প্রায় দুইদিন চলে গেলেও এখনো হত্যার শিকার শিক্ষকের লাশ বুঝে নেননি তার পরিবারের সদস্যরা।
আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের লাশ হাসপাতালের হিমাগারে আছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) হয়তো পুলিশের হাতে নিহতের ব্যক্তির লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরে পুলিশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেবে বলেও জানান ডা. রিপল বাপ্পী।
এদিকে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি জানান, পরিবার মামলা না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং অ্যান্ড মেইনটেনেন্সের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে একদল পাহাড়ি যুবক পিটিয়ে হত্যা করে। তাকে হত্যার জেরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ বাধে। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ১৫/২০টি দোকান। বিক্ষুব্ধ লোকজন ভাঙচুর চালায় কেএসটিসি নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুটি পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
এদিকে শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
সারাবাংলা/ইআ