তারেক রহমানের অর্ধশত মামলা বিচারাধীন, সাজা হয়েছে ৬টিতে
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৪
ঢাকা: বিএনপির তথ্য ও সংরক্ষণ শাখার হিসাব মতে, দলটির কেন্দ্রীয় এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে। এসব মামলা আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের সব প্রায় নেতাই মামলার আসামি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা ৯৮টি। মামলার দিক থেকে সবার উপরে আছেন যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৪৫০!
পিছিয়ে নেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে অর্ধ শতাধিক। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়। ছয়টি মামলায় সাজাও হয়েছে তার।
জানা গেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৭টি মামলা হয়। পরবর্তী সময় শেখ হাসিনার সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ২১ শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, অর্থ-পাচার এবং দেশব্যাপী মানহানির মামলাসহ আরো অন্তত ২০টির মতো মামলা হয়। অবশ্য পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি মামলা তুলে নিয়েছে বাদীপক্ষ।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও নিহত হন ২৪ জন। আহত হন চার শতাধিক নেতা-কর্মী।
ঘটনার পর থেকেই এই হামলার জন্য তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের দায়ী করে আওয়ামী লীগ। ‘জজ মিয়া নাটক’ সাজানোর মাধ্যমে তৎকালীন সরকার এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করায় আওয়ামী লীগের এই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হামলার ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় অধিকতর তদন্ত। এই তদন্ত শেষে তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নান গ্রেফতার হন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার সহায়তায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালান হয়। সে সময় বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দীনের মাধ্যমে পিন্টুর সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ হয়।
এরপর তার মাধ্যমে তারা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে যান। সেখান থেকে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং কুমিল্লার তৎকালীন নির্বাচিত সংসদ সদস্য কায়কোবাদকে সঙ্গে নিয়ে তারা হাওয়া ভবনে যান। হাওয়া ভবনের বৈঠকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআই-এর তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন তারেক রহমান।
এ মামলায় মুফতি হান্নানসহ মোট ১৮ জন আসামি স্বীকারোক্তি দেয়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। ৫২ জন আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় বাকি ৪৯ জনের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া, তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এ মামলায়।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এ মামলাটির ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন এবং আপিলের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। তবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেঞ্চ পুনর্গঠনের পর আসামী পক্ষ এ মামলায় সময় আবেদন করে। সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর এ মামলার শুনানির সময় দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, আগের বেঞ্চ থাকলে সেখানে শুনানি হবে। আর যদি ওই বেঞ্চের জুরিসডিকশন না থাকে তাহলে নতুন বেঞ্চে শুনানি হবে। এ ক্ষেত্রে আবারও শুরু থেকে শুনানি হতে পারে।
অবশ্য শুরু থেকেই এ মামলার পুনঃতদন্ত ও অধিকতর তদন্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে আইনজীবী প্যানেলের প্রত্যেকটি সদস্য জোরের সঙ্গে বলে আসছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক রহমানের ন্যুনতম সম্পর্ক নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারেকর রহমানাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। মুফতি হান্নানের কাছ থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় মোট পাঁচটা চার্জশিট হয়েছিল। এরমধ্যে ইলেভেনের সময় দেওয়া চতুর্থ চার্জশিটেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পঞ্চম চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ঢোকানো হয় এবং ফরমায়েশি রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়
একই দিনে ওই ঘটনা থেকে উদ্ভূত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায়ও রায় দেওয়া হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা ট্রাস্টের কাজে ব্যবহার না করে নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে— এমন অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্ট পরে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
প্রায় ২৫ মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের বাইরে থাকায় এবং সাজা ভোগ না করায় তারেক রহমানের সাজা এখনও বহাল আছে। মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলাটিও দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে কাজ করছের বিএনপির আইনজীবীরা। দেশে ফিরে নির্ঝঞ্ঝাট রাজনীতির প্রয়োজনে এ মামলা থেকেও বেকসুর খালাস পেতে হবে তারেক রহমানকে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা
ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দীন সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় আর্জিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরেও চার কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে। গত বছরের ২ অগাস্ট এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ফৌজদারি কার্যবিধির কোড, (আইন নং-ভি ১৮৯৮ সাল) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সাজা স্থগিত করা হল।
এ মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছরের সাজা এখনও বহাল আছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ মামলাটি ফায়সালার চেষ্টা করছেন তার আইনজীবীরা।
অর্থপাচার মামলা
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এ মামলার চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত যেতে হবে তারেক রহমানকে।
মানহানির মামলা
লন্ডনের এক সমাবেশে ২০১৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার ও পাকবন্ধু বলে কটূক্তি করেন তারেক রহমান— এসব অভিযোগ এনে সে সময় নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় নড়াইলের আদালত। ঢাকার আদালতেও মানহানির অভিযোগে কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে এসব মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
গ্রেনেড হামলা, অর্থ-পাচার, মানহানির মামলা ছাড়াও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একাধিক মামলা রয়েছে। একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে।
এছাড়া নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। ওই মামলায়ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাও রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, কোনো অনুকম্পা বা নির্বাহী আদেশ নয়, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলাগুলো মোকাবিলা করতে চান তারেক রহমান। এ জন্য তার পক্ষে একটি আইনজীবী প্যানেল কাজ করছে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলাগুলো ফায়সালা হলে দেশে ফিরবেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন সারাবাংলাকে বলেন,‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারেক রহমান। তাই আইনি প্রক্রিয়াতেই মামলাগুলো মোকাবিলা করবেন। তার আইনজীবী হিসেবে মামলাগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি, ন্যায় বিচার পেলে সব কটি মামলায় উনি বেকসুর খালাস পাবেন ইনশাল্লাহ।’
ওয়ান ইলেভেনের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের আটক করে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয় তারেক রহমানকে। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়ে লন্ডন চলে যান তিনি।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ