ডিসি নিয়োগ: অনিয়ম খুঁজবেন ৩ উপদেষ্টা
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১১
ঢাকা: জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনিয়ম খুঁজে বের করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টাকে। তদন্তের প্রয়োজনে তারা অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতে পারবেন।
তিন উপদেষ্টা হলেন— ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; এবং স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাংগীর আলম চৌধুরী।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই প্রশাসনে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। এর মধ্যেই প্রায় সব জেলার ডিসিকে অপসারণ করা হয়, নিয়োগ দেওয়া হয় নতুন ডিসি। সেই প্রক্রিয়াতেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এসব অনিয়মে জড়িত ছিলেন বলে খবর আসে গণমাধ্যমে।
ডিসি নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমাজকল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ডিসি নিয়োগে অনিয়ম খুঁজতে তিন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তাৎক্ষণিক যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদ এটা নিয়ে কাজ করবে। দ্রুত এর তদন্ত করতে হবে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আরও বলেন, এই তিনজনের (তিন উপদেষ্টা) কথা বলা হয়েছে তদন্তের জন্য। এর অর্থ এই নয় যে অন্যরা এতে যুক্ত হতে পারবেন না। মূল কথা, একটি কমিটি করে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
ডিসি নিয়োগে অনিয়ম ইস্যুতে শুরুতেই আলোচনায় আসে তিন কোটি টাকার একটি চেক লেনদেনের ঘটনা। সবশেষ দৈনিক কালবেলা এক প্রতিবেদনে ডিসি নিয়োগ নিয়ে ভয়াবহ কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং বিতর্কিত দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে তাতে।
প্রতিবেদনে সিনিয়র সচিবের সঙ্গে যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের চিত্রও বেরিয়ে এসেছে। সেই কথোপকথনে দেখা যায়, ডিসি নিয়োগ নিয়ে রীতিমতো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
আসিফ নজরুল উপদেষ্টা জাহাংগীর ডিসি নিয়োগ ডিসি নিয়োগে অনিয়ম তদন্ত তদন্ত কমিটি নাহিদ ইসলাম