Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারতের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ আদানির সঙ্গে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি বাংলাদেশের সব থেকে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম।

শনিবার (৫ অক্টোবর) নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছিল মন্তব্য করে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সব থেকে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছে। বিগত সরকার দেশকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে, যার কারণে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সাবেক সরকারের সব থেকে বড় সাদা হাতি। ’

তিনি বলেন, ‘দুদককে সংস্কার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান করার দাবি জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা গেলে সংস্কারের অনেকটা পথ এগোনো যাবে।’ এ সময় তিনি সংসদে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন বরাদ্দ রাখার মতামত দেন।

সংবিধানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য স্থাপন করার কথা উল্লেখ করে ড. মইনুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও ভোটের মাধ্যমে হওয়া কাম্য। সংবিধানকে দ্বি-কক্ষীয় কাঠামোতে রূপান্তরের পাশাপাশি সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থাকতে হবে।’

চবির লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপনের মাধ্যমে সংবিধানের সংস্কার করা সম্ভব। কারণ, নির্বাচনের পর যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের মধ্যে পরিবর্তন করার প্রবণতা থাকে। ফলে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার হলে সব ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া সম্ভব। সংবিধান সংস্কারের কাজটি সফল করার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান না হলেও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শেষ সরকার ব্যর্থ হতে পারে, তবে এটা সামগ্রিকভাবে জাতির ব্যর্থতা না। জনগণকে গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে আশাবাদী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। এ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

সংলাপে জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজীবী, রাজনীতিক, শিল্প উদ্যোক্তা, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, অধিকারকর্মী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, নারী সংগঠক, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংস্কার বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

আদানি গ্রুপ চুক্তি টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর