তার মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করছে
৭ অক্টোবর ২০২৪ ০১:১৯
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী… তারপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এটা রাজনৈতিক পরিচয়। তবে তিনি নিজেকে শিক্ষক ও চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করতেন। অন্তত আমি তা-ই দেখেছি। বলছি সদ্যপ্রয়াত শিক্ষক ও রাজনীতিক, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কথা। সমাজের একটি বড় অংশের কাছে তিনি ‘বি চৌধুরী’ নামেই পরিচিত। গত ৫ অক্টোবর তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন।
পারিবারিক কারণেই চিনতাম তাকে। আমার মা বি চৌধুরীর কাছে অনেকদিন গিয়েছেন চিকিৎসা নিতে। যখন কৈশোর অতিক্রম করছি, তখনই রাজনীতির সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়। ফলে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি’র নেতা হিসেবে তাকে দেখেছি। পরে যখন সাংবাদিকতায় যুক্ত হই তখন পরিচয় নিবিড় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
২০০১ সালের নভেম্বর থেকে আমার সঙ্গে দেখা হলেই তিনি বলতেন, ‘রহমান মুস্তাফিজ, চ্যানেল আই- সাহসী ছেলে’। বলেই স্মিত হেসে আমার পিঠে স্নেহের হাত রাখতেন। তার এমন আচরণের পেছনে বিশেষ কারণ ছিল। ব্যাপরটাও ছিল খুব মজার। যদিও ঘটনাটা খুব একটা সুখকর ছিল না।
বি চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয় বিশেষ একটা ঘটনার পর। ২০০১ সাল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি। আমি তখন চ্যানেল আইয়ে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করি। অক্টোবরের শেষ কিংবা নভেম্বর মাস। বি চৌধুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিলেন। জয়ী হলেন। হলেন বাংলাদেশের ১৮তম রাষ্ট্রপতি। তখনও রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেননি। তখন রমজান মাস। নির্বাচন আর শপথের মাঝের সময়টায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজন করল ইফতার মাহফিলের। ভেন্যু- অফিসার্স ক্লাব টেনিস কোর্ট। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির অ্যাসাইনমেন্টটা আমার ছিল। নিউজের সেকেন্ড ব্রেকের পরের আইটেম। মেজাজটাই খারাপ ছিল। সারাদিন বসে থেকে একটা উভ্ আইটেম (প্রেজেন্টার নিউজটা পড়বেন, সাথে ২০/২৫ সেকেন্ড ফুটেজ যাবে) করা, যা রাত ৯টার নিউজে প্রচার হবে।
অ্যাসাইনমেন্টে যেতে যেতে প্ল্যান করছি, কিছু একটা করতে হবে যেন এটা প্যাকেজ হয় এবং নিউজের ফার্স্ট পার্টে প্রচার হয়। আচমকা ব্রেইনে একটা বুদ্ধি ঝিলিক খেলে গেল। নিজের মনেই হাসলাম। বুদ্ধিটা যদি কাজে লাগে তাহলে ২৩/২৪ নম্বর আইটেমটাই হয়ে যাবে ফার্স্ট লিড।
স্পটে গিয়ে ক্যামেরাপারসন ফুয়াদ হোসেন রুবেলের (এখন নাগরিক টিভিতে) সঙ্গে আইডিয়াটা শেয়ার করি। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে তিনি অনুষ্ঠান স্থলে এলেন। এর পর দোয়া আর কুরআন তেলওয়াত শেষ হতেই আজান পড়ল। সবাই মুখে পানি দিয়ে মাগরিবের নামাজে গেলেন। নামাজ শেষে বি চৌধুরী যে পথে ফিরবেন তার মাঝামাঝি একটা জায়গায় ফুয়াদকে নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম। নামাজ পড়ে তিনি যখন আসছেন, আমি বুম (মাইক্রোফোন) হাতে এগিয়ে গেলাম। কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলাম। সফল হলাম না। আমার পাশে পৌঁছে গেছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) দুই কর্মকর্তা। মুহূর্তের মধ্যেই তারা আমাকে ধরলেন এবং ছুড়ে মারলেন। ২/৩ সেকেন্ডের ব্যাপার। আমাকে তারা ৫/৬ ফুট দূরে ছুড়ে ফেললেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় জিদ চেপে গেল। সিদ্ধান্ত নিলাম, যে করেই হোক রাষ্ট্রপতির এক লাইনের বক্তব্য হলেও নেবোই নেবো। ফুয়াদকে নিয়ে আবার ছুটলাম প্যান্ডেলের দিকে। একদম সামনের সারিতে গিয়ে বসে পড়লাম। ফুয়াদকে বলে রাখলাম, রাষ্ট্রপতি চেয়ারে বসার আগেই যেন ক্যামেরা রোল দেয়। যাই ঘটুক, রেকর্ড চলতে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি যখন চেয়ারে বসতে যাবেন তখনই আমি তার সামনে হাজির হই। গিয়েই ডান পা দিয়ে টেবিলের পা আঁকড়ে ধরি। বাম হাত টেবিলে ভর দিয়ে বুম এগিয়ে দেই এবং প্রশ্ন করা শুরু করি। জাতীয় সংসদে তখন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ অধিবেশন বর্জন করে চলেছে। রাষ্ট্রপতিকে প্রশ্ন করি, ‘রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে বিরোধীদলকে সংসদে ফিরিয়ে আনার জন্য কি উদ্যোগ নেবেন?’
আমার প্রশ্ন শেষ হওয়ার মুহূর্তে আবারও এসএসএফ হাজির। তারা আমাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। সরাতে গিয়ে দেখলেন রাষ্ট্রপতির সামনে থেকে টেবিল সরে যাচ্ছে। এরপর তারা এ চেষ্টা বাদ দিয়ে ডান পায়ের কুচকিতে চাপ দিলেন। টেবিল থেকে পা আলাদা হয়ে গেল। এবার তারা আমাকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু ততক্ষণে রাষ্ট্রপতি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রপতি যখন কথা বলছেন, তখনতো আর সামনে থেকে মাইক্রোফোন সরিয়ে নেওয়া যায় না। প্রায় দেড় মিনিট কথা বললেন তিনি। কথা শেষ হতেই ফুয়াদকে ছুটতে বললাম। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার নিউজ শুরু হতে তখনও ৭/৮ মিনিট বাকি। অফিসার্স ক্লাব থেকে সিদ্ধেশ্বরীতে চ্যানেল আই অফিসে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না। যেতে যেতেই গাড়িতে বসে অফিসে ফোন দিলাম। চিফ নিউজ এডিটর শাহ আলমগীর ভাই বললেন, ‘দ্রুত আসো। ক্যাসেট ক্যামেরা দিয়েই কিউ করে পিসিআর-এ চলে যাও।’
অফিসে পৌঁছে ছুটি ৪ তলার পিসিআর-এ। ততক্ষণে হেডলাইন শুরু হয়ে গেছে। লাইন প্রডিউসার শান্ত মাহমুদের হাতে ক্যাসেট ধরিয়ে দিই। ফার্স্ট লিড আমার আনা সেই নিউজ।
এর কয়েক মাস পর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ। অধ্যাপক বি চৌধুরী মেয়ে একসময় স্কুলটিতে পড়তেন। তিনি এলেন প্রধান অতিথি হয়ে। যথারীতি আমার অ্যাসাইনমেন্ট। অনুষ্ঠান শেষে তার দিকে এগুনোর চেষ্টা করি। আবারও এসএসএফ’র বাধা। তিনি আমাকে দেখলেন এবং এসএসএফ-কে বললেন, আমাকে তার কাছে যেতে দেওয়ার জন্য। সেদিনও একটি সাধারণ নিউজ আইটেম লিড নিউজে পরিণত হয়েছিল।
এমন আরও অনেক স্মৃতি আছে। তবে তার কাছে আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতারও বিষয় আছে। ২০০৮ সালের ৮ জুলাই। ওয়ান ইলেভেনের পরের ঘটনা। আমি তখন সচিবালয় বিট করি। সকাল থেকেই তেমন কোনো ভালো আইটেম নেই। সব গঁৎবাধা কার্টেসি কল। ৬ নম্বর বিল্ডিংয়ে লিফটের সামনে দেখা হয়ে গেল উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সঙ্গে। তার দিকে এগিয়ে যেতেই বললেন, ‘আজকের গরম খবর কি?’ বললাম, ‘আজকের গরম খবর তো আপনি দেবেন। একটু পরেই তো আপনারা কয়েকজন বসবেন।’ প্রথমে তিনি ভ্রূ কুঁচকালেন। তারপর হাসলেন। বললেন, ‘কোনো খবরই গোপন রাখবেন না?’ উত্তরে আমিও হাসলাম। তবে বললাম না, আমি আন্দাজে ঢিল ছুড়েছিলাম।
তিনি বললেন, ‘তিনটার দিকে রুমে আসেন। কথা হবে।’ হিসেব করে দেখলাম, দুপুর দেড়টা থেকে কোনো কাজ নেই। এই ফাঁকে বরং লাঞ্চটা সেরে নিই। সচিবালয় বিট যারা করেন, তাদের কয়েকজনকে ফোন করে বললাম লাঞ্চ সেরে নেন, তিনটায় ব্রিফিং। সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্টিনে আসতে বললাম। নিজেও যখন কেন্টিনের দিকে যাচ্ছি, তখন দেখি চ্যানেল আই-য়ের একটা ট্রাইপড পথে পড়ে আছে। আমাদের তৃতীয় কোনো রিপোর্টার হয়তো কারও সাক্ষাৎকার নিতে এসে সেখানে ওটা ফেলে গেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের সম্পদ এভাবে রেখে যাওয়া যায় না। উবু হয়ে তুলে রাখতে গিয়ে কোমড়ে হালকা শব্দ হলো। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলাম না। ট্রাইপড একটা গাড়িতে রেখে স্বাস্থ্যের কেন্টিনে চলে গেলাম। সেখানে খেতে বসে হঠাৎ-ই প্লেটের ভাতে মুখ থুবড়ে পড়লাম, সাথে ব্যথায় গগনবিদারী চিৎকার।
আমার চিৎতারে শুধু কেন্টিনের নয়, ওই ভবনের দোতলা থেকেও নেমে এলেন কয়েকজন। সবাই অবাক, কী হলো! নিয়ে যাওয়া হলো মনোয়ারা হাসপাতালে। অফিসের সামনেই। ইমার্জেন্সির চিকিৎসক কি হয়েছে শুনে একটা ভোল্টালিন ইনজেকশন দিলেন। জানালেন, এক্সরে করারও উপায় নেই। তিন দিন পর এক্সরে করে চিকিৎসা শুরু করবেন।
ওইদিনের মতো বাসায় ফিরে আসি। তিন দিন পর এক্সরে করে জানা যায়, মেরুদণ্ডের নিচের ৪ ও ৫ নম্বর ডিস্ক বাঁকা হয়ে গেছে। দুই ডিস্কের মাঝে আটকা পড়েছে ভেইন। শুরু হলো চিকিৎসা। এরপর সিটিস্ক্যান। পিজি হাসপাতালের (বর্তমান বিএসএমএমইউ) একজন সহকারী অধ্যাপক আমাকে যে ওষুধ দিলেন তাতে প্রতিদিন খরচ প্রায় ১৬০০ টাকা। এরপর অধ্যাপক ডা. ইদ্রিসুর রহমানের কাছে গেলাম। তিনি প্রথম দিনেই বললেন অপারেশন করতে হবে। ১৪ লাখ টাকা নিয়ে আসেন।
ইন্টারন্টে ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, যে অপারেশনের কথা বলা হচ্ছে তা সফল হওয়ার হার ১০ শতাংশেরও কম। টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনা। অপরারেশনে রাজি হলাম না। কয়েকদিন পর এক বিকেলে আমার বড় ভাই ফোন দিলেন। বললেন, ‘বাংলাভিশন দেখ।’ বাংলাভিশনে দেখলাম অধ্যাপক বি চৌধুরী স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। সেদিনের বিষয়টি মেরুদণ্ডের নানান সমস্যা নিয়ে। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বি চৌধুরীকে ফোন দিলাম। সমস্যা জানালাম। তিনি পর দিন উত্তরায় মেডিকেল কলেজে যেতে বললেন।
পরদিন সকাল ৯টার দিকে কলেজে গেলাম। তিনি তখন ক্লাসে। ক্লাস শেষ করে ফিরলেন। আমাকে দেখে বললেন, ‘সুস্থ মানুষ অসুস্থতার ভান করলে চলবে? অ্যাসাইনমেন্টে যাননি কেন?’ কথা বলতে বলতেই তিনি রুমে ঢুকে গেলেন। বেশ বড় রুম। দরজা থেকে উনার টেবিল অন্তত ১৫/২০ ফুট দূরে। রুমে ডাকলেন। রুমে ঢোকার জন্য পা বাড়াতেই তিনি ক্র্যাচের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘রহমান মুস্তাফিজ, আমার রুমে কোনো ল্যাংড়া-খোড়াকে ঢুকতে দিই না। কাঠি দুইটা বাইরে রেখে আসেন।’
ক্র্যাচ বাইরে রেখে রুমে ঢোকার চেষ্টা করতেই পড়ে গেলাম। ওঠার সময় হাঁটু যেখানে ছিল সেখান থেকে দাঁড়াতে গেলাম। বললেন, ‘উঁহু, পড়ার সময় পা যেখানে ছিল সেখানেই উঠতে হবে।’ এভাবে ১৫/২০ ফুট জায়গা পেরুতে আমার প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল। এরপর তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলেন। প্রেসক্রিপশন দেখে ক্ষেপে গেলেন। পিজি হাসপাতালের সেই সহকারী অধ্যাপককে ফোন করে বকাঝকা করলেন। এরপর তিনি ওষুধ লিখে দিয়ে ১৫ দিন পর আবার যেতে বললেন।
আগে প্রতিদিন প্রায় ১৬০০ টাকার ওষুধ খেতাম। বি চৌধুরীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রতিদিনের ওষুধের দাম পড়ল মাত্র ১৫/১৬ টাকা। ১৫ দিন পর ওষুধ চেঞ্জ করে দিলেন। এবার খরচ কমে প্রতিদিনের ওষুধের দাম ৮/৯ টাকা। দুই মাস পর ওষুধই বন্ধ করে দিলেন। ট্রাকশন আর হিট…। এর দুই মাস পর তাও বন্ধ করে দিলেন। চারটা ব্যায়াম শিখিয়ে দিলেন। তার মানে চিকিৎসা খরচ থেকে আমাকে মুক্তি দিলেন। আর আমিও সুস্থ হলাম, যেখানে পঙ্গুত্বই ছিল আমার ভবিতব্য।
অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে রাজনীতি, পেশা ও চিকিৎসার কারণে তৈরি হয়েছে অজস্র স্মৃতি। ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করতেন বলে তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করতেন। বেশকিছু এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের তথ্য ও ডকুমেন্টস তিনিই আমাকে সরবরাহ করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনৈতিক ইস্যুতে রাষ্ট্রের জন্য ইতিবাচক… এমন কিছু কথা তার সাথে শেয়ার করেছিলাম। তিনি এর বেশ কয়েকটি গ্রহণ করেছিলেন এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন ইতিবাচক মানুষ। বিরুদ্ধমতের কেউ কোনো ভালো কথা বললে সেটিও তিনি গ্রহণ করতেন। তার আরেকটি অসাধারণ গুণ ছিল। তার সেন্স অব হিউমারও ছিল অসাধারণ, যা এখনকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মাঝে খুব একটা দেখা যায় না। চলতেন একেবারেই সাদামাটাভাবে। তার এই সাদামাটা ভাবটা ভালো লাগতো। আর এ কারণেই হয়তো ভিন্ন আদর্শের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তার মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করছে।
লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক; সারাবাংলা ডটনেট এবং লেখক, নির্মাতা ও গবেষক।
সারাবাংলা/পিটিএম