প্রেমের টানে রাজশাহীতে এসে ঘর বাঁধলেন ফিলিপাইনের ২ তরুণী
৭ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১০
রাজশাহী: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। এবার প্রেমের টানে রাজশাহীর তানোরে এসে ঘর বেঁধেছেন ফিলিপাইনের দুই তরুণী।
তরুণীরা হলেন- ফিলিপাইনের জাম্বোয়াঙ্গা উপদ্বীপ অঞ্চলের খাদিজা ইসলাম (রিজেল ক্লিয়ার) (২২) ও নেগ্রোস দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত বাগো শহরের মরিয়ম খাতুন (চারিনা মলিন) (৩২)।
খাদিজা ইসলাম বিয়ে করেছেন-তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলামকে (২২), মরিয়ম খাতুন বিয়ে করেছেন একই উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মালশিরা গ্রামের রেজাউল করিমকে (৩৩)। রাকিবুল ইসলাম ও রেজাউল করিমের বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে।
স্বজনরা জানান, প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় খাদিজা ইসলামের। খাদিজা তখন সৌদি আরবে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ধর্ম পরিবর্তনের আগে তার নাম ছিল রিজেল ক্লিয়ার। প্রেমের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিতে গত ৫ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসেন খাদিজা ইসলাম। পরদিন ৬ অক্টোবর মুসলিম রীতি মেনে বিয়ে করেন তারা। ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি রাকিবুলের পরিবার।
অপরদিকে, প্রেমের টানে রেজাউল করিমের কাছে ছুটে আসেন প্রেমিকা মরিয়ম খাতুন। ধর্ম পরিবর্তনের আগে নাম ছিল চারিনা মলিন। প্রেমিক রেজাউল ও ভিনদেশি প্রেমিকা মরিয়ম খাতুন সিঙ্গাপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। রেজাউলের সঙ্গে মরিয়মের ফেসবুকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম হয়। তিন মাস আগে বাংলাদেশে এসে রেজাউলকে মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেন ওই বিদেশী তরুণী।
নববধূরা বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে পরিচয়। তারা মোবাইল ফোনে ইংরেজি ভাষা ট্রান্সলেট করে মেসেজ আদান প্রদান করতেন। এভাবে চেনা-পরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালোলাগা ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বিয়েতে গড়ায়।’
রাকিবুলের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে তার।’
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম জানান, ভিনদেশি ওই দুই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।
সারাবাংলা/এসআর