‘অংশীজনদের পরামর্শ নিয়েই গঠন হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’
৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৩৫
ঢাকা: অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতেই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে পেশাদারিত্বের সংস্কৃতি বাংলাদেশে অনুপস্থিত। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে যুক্তদের সঙ্গে এই সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে দাসসুলভ আচরণের সুযোগ নেই। তবে সাংবাদিকেরা কেন পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সে বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, এই অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। আন্দোলনের সময় মাঠপর্যায়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতেন, কিন্তু হাউজ পলিসির কারণে ওই সংবাদ প্রকাশ হতো না। ওই সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া কী প্রচার করেছে, তা দেশের মানুষ জানে। এই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধও দেখা যায়নি।
মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংস্কারের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।
মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক জিমি আমির। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর