Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নৌপরিবহন অধিদফতরের ডিজিকে প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মাকসুদ আলমকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)। একইসঙ্গে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অপসারিত মেরিন ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর বারেক বিল্ডিং মোড়ে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। পরে মানববন্ধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঁচটি দাবি জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন।

শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদী প্রশাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশের নৌ-সেক্টর। নৌ সেক্টরের সংস্কার, পুণর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করা দক্ষ সিনিয়র মেরিনারদের সম্পৃক্ততা, অংশগ্রহন ও পরামর্শ গ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই দেশ গত ১৫ বছরের অযাচীত ও অলাভজনক প্রকল্প হতে মুক্তি পাবে। সে সাথে বর্তমান উপদেষ্টাকে নৌ সেক্টরে সকল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দূর্নীতির তদন্ত করতে হবে।’

‘২০০৯ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মহাপরিচালক মেরিন ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে জামায়তে ইসলামী ট্যাগ লাগিয়ে জোরপূর্বক উৎখাতের মাধ্যমে খুনী হাসিনা নৌ-সেক্টরে স্বৈরতন্ত্রের সূচনা করে। সে স্বৈরাচারের চরম দোসর নৌপরিবহন অধিদফতরেরে বর্তমান মহাপরিচালক ও অজ্ঞাত মহল এ সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। কাজেই আমাদের প্রথম দাবী মহাপরিচালককে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে স্বৈরাচারের দ্বারা নিগৃহীত মেরিন ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘মেরিটাইম কনভেনশনের কোন জ্ঞান ছাড়াই প্রশাসনের প্রধান বনে যাওয়া কমোডর মাকসুদ নৌ বাণিজ্য অধিদফতরের পদোন্নতি যোগ্য ও নিয়োগযোগ্য প্রার্থী থাকা স্বত্ত্বেও, সরকারকে উপযুক্ত কোন প্রার্থী নেই মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন এবং নৌ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার, চীফ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ার, নটিক্যাল সার্ভেয়ার ও ডেপুটি নটিক্যাল সার্ভেয়ার পদ মন্ত্রণালয়ের অনীহা স্বত্ত্বেও মেরিনারদের বঞ্চিত করে ভিন্ন জায়গা হতে অনুপযুক্ত লোক এনে পূরণ করার খেলায় মত্ত। এতে করে বাংলাদেশের মেরিটাইম প্রশাসন আইএমও দ্বারা প্রবর্তন করা আইএমএসএএস (আইএমও মেম্বার স্ট্যাট অডিট স্কিম) অডিট পাস করতে পারবে না, যার ফলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিশ্বে চলতে পারবে না।’

‘ফলশ্রুতিতে মেরিনারদের বিশাল অংশ বেকার হয়ে পড়বে এবং দেশের সম্ভাবনাময় জাহাজ সেক্টরের মৃত্যু ঘটবে। কাজেই অন্য সেক্টর থেকে অনুপযুক্ত লোক এনে মেরিন প্রশাসনকে ধ্বংস করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখতে হবে এবং উপযুক্ত প্রার্থীদের পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রদান করতে হবে।’

শাখাওয়াত বলেন, ‘বরিশাল মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌ বাহিনীর ক্যাপ্টেন আতিক এসটিসিডভ্লিউ (স্ট্যান্ডার্ড অব ট্রেনিং, সার্টিফিকেশন এন্ড ওয়াচকিপি) কনভেনশনের বিধান লংঘন করে তিনি সকল একাডেমির কমান্ড্যান্ট ও প্রফেশনাল প্রশিক্ষকের পদ নৌ বাহিনী দ্বারা পূরন করার দাবি জানিয়েছেন। এতে করে বাংলাদেশ আইএমও তে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যাবে, মেরিনাররা হারাবে চাকরি এবং সে সাথে বাংলাদেশ হারাবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে নৌ সেক্টরে কোনো পেশাদার ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এখনও যোগ্য লোককে পদায়ন করা হচ্ছে না। পলিসি লেভেলে যারা আছেন সবাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তারা নাইন এলেভেনের সময় ঢুকেছে। তারাই স্বৈরাচারী সরকারকে মদদ দিয়ে এতোদিন টিকিয়ে রেখেছিল। তারা এখনও স্বপদে বহাল আছে।’

‘তারা কেউ প্রফেশনাল না। আমরা নৌ সেক্টরে আমূল সংস্কার চাই। প্রশান্ত সাগরের দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। যিনি উপদেষ্টা তিনি এ সেক্টরের না। তিনি ডিফেন্সের লোক। এজন্য ওইদিকে তার প্রীতি বেশি।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হারবার) পদে যোগ্য উপযুক্ত প্রার্থীকে পদোন্নতি দেয়ারও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের পর নৌপরিবহনের মহাপরিচালক পদে মেরিনার নিয়োগের দাবিতে প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিএমএমওএ । এসময় সংগঠনের সিনিয়র সদস্য মেহেরুল করিম, ক্যাপ্টেন মালেক, আতাউল্লাহ খান, আতিক উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আইসি/এসআর

চট্টগ্রাম নৌপরিবহন অধিদফত প্রত্যাহারের দাবি

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর