যশোর সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক কপিস্টের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
৯ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৭
যশোর: যশোর সেটেলমেন্ট অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কপিস্ট মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৬ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুদকের উপসহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরে এই মামলা করেন।
আতাউর রহমান বর্তমানে শহরের নীলগজ্ঞ তাঁতীপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মণিরামপুর উপজেলার বাংগালিপাড়ার আছির উদ্দীন মোড়লের ছেলে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আতাউর রহমান ১৯৮৯ সালে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতায় যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে যোগদান করেন। তিনি ২০২০ সালেল এপ্রিলে পিআরএল এ যান। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় দুদুক তার সম্পদের হিসেব চায়। এ প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি নির্ধারিত ফর্মে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিল করেন। দাখিলকৃত বিবরণীতে যশোরে একটি ৪ তলা বাড়ি ও মণিরামপরে ৬টি দলিলে ১০০.১ শতক জমিসহ এক কোটি ৮লাখ ১৩ হাজার টাকার স্থাবর এবং ৫ ভরি সোনা, ল্যাপটপসহ মোট এক কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসেব দেখান। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তার সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় এক কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৮ টাকার।
তিনি ২০২২-২৩ আয় বর্ষে আয়কর রিটার্ণ ফর্মে মোট আয় এক কোটি ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৬১৪টাকা দেখিয়েছেন। ওই সময় স্ত্রীকে জমি কেনা বাবদ ১০ লাখ টাকা দান ও টয়োটা গাড়ি কেনা বাবদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা ব্যয়সহ ৫৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা পারিবারিক ব্যয় দেখিয়েছেন। তিনি বাবার কাছ থেকে ৬ লাখ ও স্বর্ণালংকার বিক্রি বাবদ ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা প্রাপ্তি দেখালেও তার স্বপেক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। স্ত্রীর কাছ থেকে ৯ লাখ এবং জমিবিক্রি বাবদ ১৬ লাখ টাকা আয়ের দাবি করলেও তারও প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার নীট সম্পত্তি এক কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৮ টাকা কিন্তু খরচ বাদে তার সম্পদের পরিমাণ হওয়ার কথা ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৭৬২টাকা। হিসেবে প্রদর্শিত সম্পদের পার্থক্য ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৬ টাকা, যা তিনি অবৈধ পন্থথায় আয় করে নিজের কাছে রেখেছেন ।
এই অবৈধ অর্থ ও সম্পদ উপার্জনের জন্যে তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে বলে দুদক যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসআর