কাটা ইলিশের দাম দ্বিগুণ, মিলছে না ২৫০ গ্রামের কম
১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:১৭
রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারে গোটা ইলিশ কেটে টুকরো করে বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে কাটা ইলিশ কিনতে পাওয়া গেলেও গোটা ইলিশের তুলনায় দাম দ্বিগুণেরও বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ কাটা মাছের দাম অস্বাভাবিক বেশি, কেনা যাচ্ছে না ২৫০ গ্রামের কম।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মৎস্যজীবী সমিতি কাটা ইলিশ বিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। এর উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফরিদ মামুদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) সমিতি ইলিশ টুকরো করে বিক্রির প্রচারণা করেছে, তাতে বলা হয়েছে যে কেউ চাইলে এক পিস (এক টুকরো) ইলিশ মাছ কিনতে পারবেন। বাস্তবে কাটা ইলিশ কিনতে এসে হতাশ ক্রেতারা। এক পিস ইলিশ কিনতে পারেননি কেউ। কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম কিনতে হয়েছে। এতে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে যে আকারের ইলিশ মাছ কাটা হচ্ছে সেগুলোর দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। অথচ কাটার পর ২৫০ গ্রামের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। এতে মাছের দাম দ্বিগুণেরও বেশি পড়ছে।
আনোয়ার হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘যে আকারের মাছ কাটবে সেভাবে সমন্বয় করে দাম বিক্রি করা উচিত। কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে রীতিমতো চালাকি করছেন। ছোট ইলিশ কেটে তারা বড় মাছের দাম হাঁকছেন। এমন করলে পিস আকারে কাটা মাছ বিক্রিতে সাড়া পাওয়া যাবে না। তাছাড়া ২৫০ গ্রামের কম বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তিনি।’
মাছ বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, গোটা মাছ আর কাটা মাছ একই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই কাটা মাছের দাম একটু বেশিতো হবেই। ২৫০ গ্রামের কম বেচলে লোকসান হবে বলে দাবি তার।’
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘এক পিস মাছ বিক্রি করতে গেলে মাথাটা অবিক্রিত থেকে যাবে। এ জন্য বিক্রেতারা এক পিস মাছ বিক্রি করতে রাজি নয়। আমরা সমাধান দিয়েছি যেন, মাথাটা ছোট আকারে কাটা হয় এবং কেউ এক পিস নিলেও যেন তাকে মাথার ছোট একটা পিস দেওয়া হয়। তাহলে মাথাও বিক্রি হবে, ক্রেতারাও খুশি হবে। আমরা চাই সবাই ইলিশের স্বাদ পাক।’
ছোট মাছ কেটে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমরা বিক্রেতাদের বলেছি কমপক্ষে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কাটতে। কেটে বিক্রি করলে কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেশি নেওয়া যেতে পারে। এর বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসআর