দিনাজপুরের যে ২০ কলেজের পাস করেনি কেউই
১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৩
দিনাজপুর: চলতি বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৬৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে প্রকাশিত ফলাফলে ২০ কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। এই ২০টি কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৩ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী এ তথ্য জানান।
কলেজগুলো হলো- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার গন্ধমরুয়া স্কুল ও কলেজের ৮ জন, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বাগডোকরা নিমোজখানা হাই স্কুল ও কলেজের ৬ জন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর এমএল হাই স্কুল ও কলেজেরর ৬ জন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সনকা আদর্শ কলেজের ৬ জন, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার গগর কলেজেরর ৬ জন, হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদার হাই স্কুল ও কলেজের ৪ জন, রংপুর সদরর উপজেলার আর্কেডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কলেজের ৩ জন, লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট স্কুল ও কলেজের ৩ জন, একই উপজেলার শিয়ালখোওয়া কলেজের ৩ জন, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজের তিনজন, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বাগুলাবাড়ী হাই স্কুল ও কলেজের ৩ জন, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজের দুইজন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কদমসুল হাট স্কুল ও কলেজের দুইজন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল ও কলেজেরর দুইজন, রংপুর জেলার গঙ্গাচরা উপজেলার বড়াইবাড়ী কলেজের একজন, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার শৌলমারী এমআর স্কুল ও কলেজের একজন, লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলী এসসি হাই স্কুল ও কলেজের একজন, লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একজন, একই জেলার আদিতমারি উপজেলার নামুরি হাই স্কুল ও কলেজের একজন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একজন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৬৬৫টি কলেজের মোট এক লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৫৪ জন। এই বোর্ডে পাশের হার ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
অকৃতকার্য হওয়ায় ২০টি স্কুলের মধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজ ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শুন্য ফলাফল ছিল। ২০২৩ সালে ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল মাত্র একজন।
২০টি কলেজের ফলাফল শূন্যের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর