Saturday 19 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইনজীবীর সঙ্গে অসদাচরণ, বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫৪

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলার শুনানি চলাকালে আইনজীবীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও অপ্রীতিকর আচরণের অভিযোগে একটি বেঞ্চ ভেঙে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ভেঙে দিয়ে নতুন বেঞ্চ পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়।

ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আতাউর রহমান খানকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আর ওই বেঞ্চে জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি কাজী জিনাত হককে যুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে প্রধান বিচারপতি বরাবর আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও অপ্রীতিকর আচরণের অভিযোগ এনে আবেদন করেন আশরাফ রহমান, খান ইলিয়াস সাদিকসহ ১৬ জন আইনজীবী।

প্রধান বিচারপতি বরাবর আইনজীবীদের অভিযোগের আবেদনে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের ৭ নম্বর বেঞ্চে শুরু থেকেই মামলার কার্যতালিকা তৈরি ও শুনানিতে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো নিরসনের জন্য আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার মামলা মেনশনের সময় আইনজীবীরা ও আইনজীবীদের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচরে আনেন। তিনি আদালতকে সম্মানের সঙ্গে শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আদালত আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা অনিয়ম করে জমা হওয়া মামলাগুলো ঠিকমতো দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন। উত্তরে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। আইনজীবীর দিকে হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘আমি বারের নেতা ছিলাম। আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তোমাকে কে দিয়েছে? আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, তোকে থাপ্পর দিয়ে পুলিশে দিবো।’

বিজ্ঞাপন

এমন সময় আদালতে অবস্থানরত আইনজীবীরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করলে প্রিজাইডিং বিচারপতি আতাউর রহমান খান এজলাস ত্যাগ করেন।

এর আগেও ওই বেঞ্চের প্রিজাইডিং বিচারপতি আতাউর রহমান খান ও বেঞ্চ অফিসারদের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা ওই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীও দেখেছেন। এ ধরনের কার্যক্রম ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ও প্রধান বিচারপতির দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে বলে আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন অভিযোগে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১ থেকে ২২ নম্বরে থাকা মামলাগুলো এর আগে একই বেঞ্চ থেকে কার্যতালিকায় থাকা অবস্থায় শুনানির সময় ফেরত দিলেও ফের অজ্ঞাত কারণে কার্যতালিকায় আসে।

আবেদনের অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান আইনজীবীরা।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমপি/টিআর

আদালত

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর