Thursday 05 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লালনের ১৩৪তম তিরোধান দিবস, ছেঁউড়িয়ায় বসছে স্মরণোৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৫ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০৯

কুষ্টিয়া: আখড়া বাড়িতে জীবদ্দশায় দোল উৎসব পালন করতেন ফকির লালন শাহ। সেই উৎসবের সঙ্গে সাঁইজির তিরোধান দিবস ১ কার্তিককে মিলিয়ে ভক্ত-অনুসারীরা দীর্ঘ দিন ধরেই কার্তিকের শুরুতেই আসর বসিয়ে আসছেন ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে। প্রশাসনিকভাবেই সেই আয়োজন রূপ নিয়েছে তিন দিনের লালন স্মরণোৎসবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ কার্তিক, ১৭ অক্টোবর) লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবসে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আখড়া বাড়িতে শুরু হচ্ছে এ বছরের তিন দিনের লালন স্মরণোৎসব। আখড়া বাড়ি সাধু, ভক্ত, লালন অনুসারী আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে তিন দিন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) শেষ হবে এই উৎসব।

বিজ্ঞাপন

আখড়া বাড়ি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎসব ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মাজার সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এরই মধ্যে মাজার প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছেন লালন অনুসারী সাধু-ভক্তরা।

ছেঁউরিয়ার আখড়া বাড়ির ভেতরে বসেছে বাউল ফকিরদের আসর। পাশেই কালী নদীর পারে বসেছে বিশাল মেলা। প্রস্তুত করা হয়েছে লালন মঞ্চ। দিনে আলোচনা সভার পার রাতভর সেই মঞ্চে চলবে গান, চলবে গানে গানে লালন সাঁইয়ের দর্শন আর পথ অনুসন্ধান।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তিন দিনের লালন উৎসব সামনে রেখে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মরণোৎসবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য বিভিন্ন স্তরে পুলিশ কাজ করছে।’

ভাববাদী লৌকিক ধর্ম-সম্প্রদায়ের সাধন সংগীত স্রষ্টা লালন ফকির। চৈত্রের এক দোল পূর্ণিমার দিনে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অবস্থায় তার আবির্ভাব ঘটেছিল ছেঁউড়িয়ার কালী নদীর ঘাটে। পরে সেখানেই গড়েন বসতি। সহজিয়া জীবন দর্শনের চর্চায় গড়ে তোলেন আখড়া বাড়ি, চালু করেন সাধুসঙ্গ।

বিজ্ঞাপন

সাঁইজির দেহত্যাগের পর তার স্মৃতিকে ধরে রাখার ও তার মরমী বাণী প্রচারের জন্য তার অনুসারীরা তিরোধান দিবসকেই বিশেষভাবে স্মরণ করেন। আখড়া বাড়িতে জড়ো হয়ে প্রয়াস চালান সাঁইজির দেখানো পথ সন্ধানের।

সারাবাংলা/এনজে

কুষ্টিয়া লালন শাহ লালন সাঁই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর