উৎপাদন নির্বিঘ্ন রাখতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষি উপদেষ্টা
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১২
ঢাকা: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাধীনতায় সময় এদেশের প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমান কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশ বর্তমানে দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে যদি খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে উপদেষ্টা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একক ও যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সাম্প্রতিক গবেষণায় দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষত শাক-সবজি ও ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয় বলে উপদেষ্টা জানান। উপদেষ্টা খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।’
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান, এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ( শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র ঢাকার পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশীদ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর