‘সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনারই ‘ক্ষমতা’ নেই, নিরাপদ সড়ক চেয়ে কী লাভ’
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৯ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৩
ঢাকা: নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ৩২ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে সব সরকারের কাছে গিয়েছি, কোনো লাভ হয়নি। বর্তমান সরকারের কাছে গেলে কিছু পাব বলে মনে করি না। কারণ, এই সরকারের রাষ্ট্র পরিচালানার মতো ‘ক্ষমতা’ নেই। তারপরও আমাদের প্রস্তাবনা তাদের দেবো।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘গত ৩২ বছর সকল সরকারই তাদের ভোট পলিটিক্স, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির কারণে, নিরাপদ সড়কের জন্য যুগপযোগী আইন প্রণয়ন করেনি। এমনকি নিরাপদ সড়কের জন্য কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মোট কথা নিরাপদ সড়কের জন্য সরকারের সদিচ্ছা ছিল না। মাফিয়া চক্রের কাছে সরকারগুলো সালেন্ডার করে। এটাই আমাদের মনে বড় কষ্ট। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ দিন আমরা ব্যাপক ভাবে অনুষ্ঠান পালন করবো।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালে ঢাকার শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হয়, গুরুতর আহত হন ১২ জন। এ ঘটনায় ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিত হয়। ২০১৬ সালে প্রস্তুতকৃত ‘সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন’ নামক খসড়াটিকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮’ নামে প্রণয়ন করা হয়। সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অংশগুলো বাদ দিয়ে ২০১৮ সালে আইনটি প্রণয়ন হয়। কিন্তু যথাসময়ে বিধিমালা জারি না হওয়ায় আইনটির প্রয়োগ কার্যকর ছিল না। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ বিধিমালা জারির জন্য সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এবং জোরালো দাবি উত্থাপন করার প্রেক্ষিতে সরকার ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা- ২০২২’ জারি করে। জারিকৃত বিধিমালায় সড়ক নিরাপত্তার আচরণগত ঝুঁকির বিষয়গুলি সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ থাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘ ঘোষিত Decade of action for Road Safety-2021-2030 এ মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট বা বহুমুখি পরিবহন ব্যবস্থা ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী ও বোভক্র্যাপ পরবর্তী সাড়া প্রদান ও ব্যবস্থাপনা’র সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে এসকল বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিল বক্তব্যে দাবি করা হয়, জাতিসংঘ ঘোষিত Decade of action for Road Safety-2021-2030 এ উল্লেখিত বিষয়গুলো নিরাপদ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার আলোকে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করা। যার মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ নিশ্চিত হবে।
সিআইপিআরবি’র রোড সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কাজী বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কোয়ালিশন সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসআর