কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ
২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৪
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া মির্জানগর এলাকায় পদ্মার পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। এখানকার বাসিন্দারা এখন দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে তারা সরকারি যথাযথ উদ্যোগের দাবি জানায়।
গত কয়েক দিনের ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে দু’টি জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার, শতশত হেক্টর ফসলি জমি, বসতবাড়ি গোরস্থানসহ অনেক স্থাপনা। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক।
বর্তমানে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। অনেক পরিবার নদী ভাঙনের মুখে পড়ে বসতবাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকায় বসবাস করা মানুষ ফসলি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাঙনরোধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপশি সরকারি সহযোগীতা কামনা করেন তারা।
বর্তমান ভাঙন পরিস্থিতি দেখে নদী–তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা জানান, পদ্মার ভাঙন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রাম। এখনই ভাঙন রোধে প্রয়োজনী উদ্যোগ না নিলে বিস্তৃর্ণ জনপদ নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে।
এদিকে, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে এসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম অঞ্চল) শাজাহান সিরাজ বলেন, ‘আমরা নদীতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রবল স্রোতের কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অতিদ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসময় কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান, নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মেহেদি হাসান অপুসহ ভুক্তভোগীরা উপস্থিতি ছিলেন।
সারাবাংলা/এসআর