ভিনিসিয়াসের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৩
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন অন্য এক রিয়াল মাদ্রিদ। বারবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ানো যেন অভ্যাসে পরিণত করেছেন তারা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আবারো এক ফিরে আসার মহাকাব্য রচনা করল রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়ে দারুণ এক জয় পেয়েছে রিয়াল।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে একদমই সুবিধা করতে পারেনি রিয়াল। ৩০ মিনিটের মাথায় ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন ডনিয়েল মালেন। গুইসারির বাড়ানো বলে দারুণ এক শটে রিয়াল কিপারকে পরাস্ত করেন মালেন। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডর্টমুন্ড। এবার মালেনের অ্যাসিস্টে গোল পান জেমি গিটেনস।
প্রথমার্ধের আগে ম্যাচে ফিরতে পারত রিয়াল। তবে গোলের সুযোগ নস্ট করেছেন জুড বেলিংহাম। শট পোস্টে লেগে ফিরে আসায় গোল পাননি রদ্রিগোও। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেই হাফ টাইমে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে যায় পুরো দৃশ্যপট। ৬০ মিনিটের মাথায় রিয়ালের হয়ে এক গোল শোধ করেন রুডিগার। কিলিয়ান এমবাপের ক্রসে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান তিনি। রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের সেই শুরু। দুই মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা আনেন ভিনিসিয়াস। অফসাইডের কারণে প্রথমে গোল বাতিল হলেও ভিএআরের সাহায্যে পুনরায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে রিয়ালকে লিড এনে দেন লুকাস ভাসকেজ। দুর্দান্ত এক ফিনিশে রিয়ালকে আনন্দে ভাসান তিনি। ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পান ভিনিসিয়াস। নিজেদের হাফ থেকে বল নিয়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য এক দৌড়ে ৪ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান।
ম্যাচের ৯৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রিয়ালের অবিশ্বাস্য এক জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিয়াস। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটিই তার প্রথম হ্যাটট্রিক। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকার ৯ম স্থানে আছে রিয়াল।
রাতের অন্য ম্যাচে শাকতার ডোনেস্ককে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। বোলগনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা। স্টুটগার্টের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে জুভেন্টাস। পিএসভির সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে পিএসজি।
সারাবাংলা/এফএম