‘যুক্তরাষ্ট্র নারী প্রেসিডেন্টের জন্য প্রস্তুত’
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৬
উদার গণতন্ত্রের পাশাপাশি নারী অধিকার চর্চায় বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত হলেও প্রায় আড়াই শ বছরের ইতিহাসে কোনো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি যুক্তরাষ্ট্রে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেই প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত। আসন্ন মার্কিন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে যেখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যাবে যাবে আমেরিকানরা বিভক্ত নয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এসব কথা বলেন।
বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস দুজনেই ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। দুই প্রার্থীর নির্বাচনি শিবিরের জোর প্রচার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভোটের মাঠে।
সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমার ইভেন্টগুলোতে আসুন এবং আপনি দেখতে পাবেন, সেখানে নারী-পুরুষ সবাই আছেন। আমার যে অভিজ্ঞতা, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই জানতে চায় তাদের খরচ কমানোর পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের আছে কি না। আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের আছে কি না। এসব প্রশ্ন গুরুপ্তপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকারের সময় কমলাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেন তিনি নারী প্রার্থী হিসেবে ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলছেন না। এ প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে কমলা বলেন, ‘আমি স্পষ্টতই একজন নারী। বেশির ভাগ লোকরা যে বিষয়টির প্রতি সত্যিই আগ্রহী সেটি হলো— আপনি কী কাজ করতে পারেন এবং আপনার মনোযোগ কি প্রকৃতই সেদিকে রয়েছে কি না। এখানে নারী-পুরুষ মুখ্য বিষয় নয়।’
কমলা আরও বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ হলো— আমি যতটাসম্ভব ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে ও শুনতে এবং তাদের ভোট পেতে আগ্রহী। আমি কখনোই ধরে নেব না যে আমাদের দেশে কেউ তাদের লিঙ্গ বা তাদের বর্ণের ভিত্তিতে একজন নেতা নির্বাচন করবে। বরং প্রার্থীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ভোট অর্জন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে তারা কী করবে, সেদিকেই মনোযোগী হতে হবে।
ভোটে জয় পেলে কমলা হ্যারিস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এবং দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এর আগে বারাক ওবামা প্রথম মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এইচআই/টিিআর