Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহাদাতের শপথ ৩ নভেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথের দিন চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ নভেম্বর তিনি শপথ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে শপথের সময় জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ৩ নভেম্বর সকাল ১১টায় শাহাদাতকে শপথ পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা আরেকটি অফিস আদেশে সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র শাহাদাত হোসেনকে সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম শপথ গ্রহণের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ আগস্ট দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের রায়ের পর গত ২৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ মেয়রদের অপসারণ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তৎকালীন আহবায়ক শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পাওয়ায় গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

আদালতের রায়ের সাতদিন পর গত ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাবার পর শপথের ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কি না, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কাছে মতামত চাওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় থেকে শপথের পক্ষে মতামত পাঠানো হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে।

এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ মেয়রদের অপসারণ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে, যার মধ্য দিয়ে শাহাদাতের শপথ গ্রহণ নিয়ে সব ধরনের অনিশ্চয়তা কেটে যায়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/আরডি/এসআর

চট্টগ্রাম ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর