সিন্ডিকেট ভাঙতে এবার জেলা প্রশাসনের ‘বিক্রয়কেন্দ্র’
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ছয়টি জায়গায় বিক্রয় কেন্দ্র খুলেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের হাতে কম দামে পণ্য পৌঁছে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নগরীর স্টেশন রোডের রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুখে বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভোক্তাদের হাতে সুলভমূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, পাহাড়তলী কাঁচা বাজার, পতেঙ্গা স্টীলমিল বাজার, বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ও দুই নম্বর গেইট কর্ণফুলী কাঁচা বাজারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি সেলস সেন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকদের পক্ষ থেকেও তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এসব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষ পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এসব বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতারা বিভিন্ন সবজি থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, তেল ও ডিম ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবেন।
সেলস সেন্টার উদ্বোধন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কমিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলার প্রত্যেক উপজেলায়ও সুলভমূল্যের বাজার খোলা হয়েছে। দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত ১০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।’
‘এরপর থেকে নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা পুরোদমে বাজার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আমরা ৮৯টি অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে ৩৫০ জনকে ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছি।’
পণ্যের দাম খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে জানিয়ে ফরিদা খানম বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য সুবিধাবঞ্চিত ও খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এজন্য সৎ ব্যবসায়ীরাসহ সবাই আমাদের পাশে আছে। আমাদের ধারাবাহিক বাজার মনিটরিং ও অভিযানের কারণে নিত্য পণ্যের মূল্য কিছুটা হলেও কমে এসেছে।’
‘সাম্প্রতিক সময়ে টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্নস্থানে ফসলের ফলন কিছুটা কম ছিল। প্রতিবছর এ সময়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। অসাধু ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বুদ্ধি করে রাখে। সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারলে অতিশীঘ্রই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের ভিতর থাকবে। যতদিন পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে না আসবে ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থা ও ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
ভোক্তাদের জন্য আরও বিভিন্ন ধরণের সবজি ও নিত্য পণ্য নিয়ে জেলা প্রশাসন বিক্রয় কেন্দ্রের পরিধি বাড়াবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/এসআর
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিক্রয়কেন্দ্র সিন্ডিকেট