চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার গণেশ প্রামানিকের স্ত্রী অঞ্জলী রানীকে (৫০) গলা কেটে হত্যা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই মূল হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করেছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিংগা গ্রামের মুস্তাক মন্ডলের বসতবাড়ী হতে হত্যাকারী ওয়াদুদ ওরফে ওদুকে (৩০) আটক করা হয়।
আটক দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মরহুম সুবাদ মন্ডল ও মরহুমা কোহিনুর বেগমের ছেলে।
আটক ওদু, অঞ্জলী রানীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে স্বেছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪
ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
এর আগে পুলিশ ওদুর কাছে থাকা ১টি স্বর্ণের হার, ৩টি স্বর্ণের পলা, ৪টি স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের রিং কানের দুল, ২টি রূপার নুপুর এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ মিডিয়া সেলে শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে পাঠানো এক হোয়াটস এ্যাপ বার্তায় জানা
যায়, গত রোববার (২০ অক্টোবর) অভিযুক্ত ওদু ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জলী রানীকে কুপিয়ে হত্যা করে বসতঘরের সাব-বাক্সে রাখা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত অঞ্জলী রানীর ভাই অশোক কুমার বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ২০২৪ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ধারায় মামলা করে।
হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বিপিএম-সেবা ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সে সময় পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর থানা,সাইবার ক্রাইম, গোয়েন্দা শাখা ও সিআইডির একাধিক দল ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিকে আটকের জন্য মাঠে নামে।
অবশেষে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ওদুকে আটক করে।