আমদানি স্বাভাবিক, তবু হিলিতে বাড়তি পেঁয়াজের দাম
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৯ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৪৬
দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বন্দরে বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামেও। হঠাৎ করে এভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। তারা বলছেন, এর প্রভাব সারা দেশেই পড়বে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুর দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৪টি ট্রাকে করে ৯৯১ মেট্রিক টন ইন্দোর, নাসিক, সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের ১৬ কর্মদিবসে ভারত থেকে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
আমদানি করা এসব পেঁয়াজের মধ্যে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা তিন দিন আগেও বন্দরে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ শনিবার বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়। আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। তিন দিন আগেও এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। এ ছাড়া বন্দর এলাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
শনিবার রাতে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলছেন, হঠাৎ করে শনিবার বিকেল থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবারও তারা যে পেঁয়াজ কিনেছেন ৮৫ টাকায়, গতকাল তা কিনতে হয়েছে ১০০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, বন্দরে কোনো অজুহাত ছাড়াই আমদানিকারকরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে যেসব পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় কিনেছি, সেগুলোই এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের দামও খানিকটা বেড়েছে। এ ছাড়াও দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের পাইকারি আড়তগুলোতে আট দিন পেঁয়াজ কেনাকাটা বন্ধ থাকবে। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ কিছুটা কমে যাবে। এ আশঙ্কাতেও দাম বেড়েছে।
নুর আলম বাবু আরও বলেন, পেঁয়াজের এই দাম বেড়ে যাওয়া সাময়িক। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সারাবাংলা/টিআর