Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গভবনের সামনে মিছিল রাজনেতিক সংকট সৃষ্টির ইঙ্গিত’

স্পেশাল করেসপনডেন্ট
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪১

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ‘বঙ্গভবন’ এর সামনে মিছিল রাজনেতিক সংকট সৃষ্টির ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত বাংলাদেশ এলডিপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফারুক বলেন, ‘দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় ছিল বিএনপি, ছাত্র-জনতা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। এর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এখন আবার দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য একটা প্রগতিশীল চক্র চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার ইঙ্গিত বহন করে বঙ্গভবনের সামনে মিছিল।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন করেছে। চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গুম-খুন করেছে। হারুন-বিপ্লবদের মতো লোক তৈরি করে বহু মায়ের বুক খালি করেছে।’

ফারুক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনও তারেক রহমানের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহ্যার হয়নি। মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে আছেন এখনও স্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। কোন মন্ত্রণালয় কত হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তাও প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। এটা টিকিয়ে রাখতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমরা বুঝতে পারব দেশ কোন দিকে যাচ্ছে। যারা রাজনীতি করে তারাই দেশ পরিচালনা করবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে যখন যুগপৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হয় তখন ১২ দলীয় জোট রাজপথে ছিলাম। ৭ জানুয়ারির পর মানুষ হতাশায় থাকলেও আমার আন্দোলন জোরাল করতে সারাদেশ কর্মসূচি পালন করেছি। ভারতের কারণে শেখ হাসিনা টিকে ছিল। এজন্য আমরা ভারতবিরোধী কর্মসূচি দিয়েছি। ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য সারাদেশ গিয়েছি। আমরা বলেছি-বাংলাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর আমরা রক্তাক্ত আন্দোলন করেছি। ছাত্র, জনতা, শ্রমিক-কৃষক, গার্মেন্ট শ্রমিকরা আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়েছে। সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা অত্যন্ত সাদরে গ্রহণ করেছি। তিনি যাদেরকে উপদেষ্টা করেছে, তারা আন্দোলনের সময় বিদেশে ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের পর শপথ নিয়েছেন। তারা এখনো বুঝতে পারছেন না যে, কী করবেন।’

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ও আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেলিম বলেন, ‘নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাবেন। সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তাবে রূপ দিতে দেব না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যতদিন রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন এই সংস্কার চলবে। আপনারা সংস্কারের নামে বেশি সময় নেবেন না। আমরা চাই দ্রুত সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। অন্যথায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।’

বিজ্ঞাপন

সৈয়দ ইব্রাহিম রওনকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, বাংলাদেশ এলডিপির নেতা এম এ বাসার, সাকি এনামুল হক, মাহউদ্দিন আহামেদ, বাংলাদেশ এলডিপির যুবদলের আহ্বায়ক এস এম ফয়সাল, মহিলা দলের আহ্বায়ক নিলা শেখ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এসডব্লিউআর

জয়নাল আবদিন ফারুক বিএনপি

বিজ্ঞাপন

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১

বাঘায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর