‘সুইং স্টেটে’ ব্যস্ত কমলা-ট্রাম্প, কোন রাজ্যে কার অবস্থান কেমন
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১০:২০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় শেষ হয়ে আসছে। শেষ সময়ে এসে এখন প্রার্থীরা সব উদ্যম ঢেলে দিয়েছেন ‘সুইং স্টেট’গুলোতে। দোদুল্যমান এসব রাজ্যের ভোটারদের ভোট কাড়তেই এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বেশির ভাগ রাজ্যেই ডেমোক্র্যাটিক বা রিপাবলিকান দলের প্রতি ভোটারদের আনুগত্য বলা যায় পরীক্ষিত। ভোটের অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, কোন রাজ্যে বিজয়ী হয়ে উঠতে পারেন কোন প্রার্থী। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে একক প্রার্থীর প্রতি সমর্থন স্পষ্ট নয় দীর্ঘ দিন ধরেই। বলা হয়ে থাকে, এসব রাজ্যই ভোটের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করে।
ভোটারদের সমর্থনের দিক থেকে দোদুল্যমান এসব অঙ্গরাজ্যকেই বলা হয় ‘সুইং স্টেট’। গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও বেশ কয়েকটি রাজ্যকে সুইং স্টেট মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সাতটি হলো— অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভ্যানিয়া ও উইসকনসিন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, নির্বাচনে কোন রাজ্যের অবস্থান কোন দিকে।
অ্যারিজোনা
১১টি ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে অ্যারিজোনায়। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে জয় পেয়েছিলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। বরাবরের মতো এবারও এই রাজ্যে ভোটাররা সীমান্ত নিয়ে প্রার্থীদের অবস্থান দেখে ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা মেক্সিকোর সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাজ্যটির। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন সবসময়ের জন্য এই রাজ্যের অন্যতম আলোচিত ইস্যু।
বাইডেন প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের দায়িত্ব ছিল সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্তসংশ্লিষ্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু তিনি সেই কাজটি ঠিকঠাকভাবে করতে পারেননি বলে মনে করেন অনেকেই। ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কমলা আদৌ সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর সেই সুযোগটিই ট্রাম্প নিচ্ছেন ষোলো আনা।
বাইডেন প্রশাসন অবশ্য ‘চিপস’ আইনের অধীনে উৎপাদন খাতে গতি বাড়াতে কম্পিউটার চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের সংস্থান করে দিয়েছেন। তবে এসব চিপের কারখানা এখন নির্মাণাধীন। এগুলোর সুফল পেতে সময় লাগবে। তারপরও এসব বিনিয়োগ বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য ইতিবাচক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
এদিকে অ্যারিজোনায় হিস্প্যানিক (স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত) ও ল্যাটিনো (দক্ষিণ আমেরিকান বংশোদ্ভূত) জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। হিস্প্যানিকদের সংখ্যা রীতিমতো এখন অ্যারিজোনার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এসব ভোটার নির্বাচনের ফল নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখবেন।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের সর্বশেষ জরিপের তথ্য বলছে, অ্যারিজোনায় ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ। সে হিসাবে ২ দশমিক ১ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
জর্জিয়া
১৬টি ইলেকটোরাল কলেজের রাজ্য জর্জিয়ায় ২০২০ সালে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন বাইডেন। ১৯৯২ সালের পর বাইডেনই প্রথম ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে জয় পান এই আসনে। আবার এই রাজ্যের প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোটারই কৃষ্ণাঙ্গ, যা কমলা হ্যারিসের জন্য ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া জর্জিয়া সেই রাজ্যগুলোর একটি যেখানে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পালটে দেওয়ার কারসাজিতে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন বিচারকরা। ওই মামলা অবশ্য স্থগিত রয়েছে এবং আগামী নির্বাচনের আগে এর বিচারকাজ আর শুরুও হবে না।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের সর্বশেষ জরিপে অবশ্য এই রাজ্যেও এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তথ্য বলছে, জর্জিয়ায় ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৭ শতাংশ। সে হিসাবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
মিশিগান
১৫ ইলেকটোরাল কলেজের রাজ্য মিশিগানে ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন মাত্র ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন। সবশেষ শনিবার এই রাজ্যে প্রধান দুই প্রার্থী কমলা-ট্রাম্প দুজনেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
মিশিগানের অন্যতম পরিচয় অটোমোবাইল শিল্প। ফোর্ড, জেনারেল মটরস, ক্রিসলারের (বর্তমানে স্টেলানটিস) মতো বড় বড় গাড়ি নির্মাতার ঠিকানা এই রাজ্য। এসব গাড়ির কারখানার কর্মসংস্থানও গোটা এলাকার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক দামে চীনা ইলেকট্রিক গাড়ির আগ্রাসী বাজার তাই মিশিগানের অর্থনীতির জন্য ছিল ঝুঁকি। বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি এক আদেশের মাধ্যমে এসব চীনা গাড়ির ওপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপ করে স্থানীয় শিল্প সুরক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে।
জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্রেচেন হুইটমারও এই রাজ্যের অধিবাসী। তবে ফেব্রুয়ারিতে দলের প্রাইমারি নির্বাচনে বাইডেন খু্ব একটা সুবিধা করতে পারেননি। অন্তত এক লাখ এক হাজার ভোটার বাইডেনের প্রতি প্রতিশ্রুতি জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বাইডেনের জায়গায় এখন কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ায় দলীয় ভোটগুলো তিনি বাগে নিতে পারছেন কি না, সেটি বড় একটি প্রশ্ন।
এই রাজ্যের ভোটের ফলাফলে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন আরব-আমেরিকান ভোটাররা। বাইডেন প্রশাসন গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সঙ্গে চলমান এই যুদ্ধ নিয়ে তাই আরব-আমেরিকান ভোটাররা বাইডেন তথা ডেমোক্র্যাট দলেরই বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারেনন। শনিবার মিশিগানে ট্রাম্পের এক নির্বাচনি প্রচারেও তেমন চিত্র উঠে এসেছে। ডেয়ারবর্ন হাউটসের মেয়র বিল বাজি ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছি, কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী এই রক্তপাত থামতেই হবে এবং আমার বিশ্বাস, ট্রাম্পই তার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি।’
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের সর্বশেষ জরিপের তথ্য অনুযায়ী এ রাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। তার প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটারের। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন ৪৭ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। সে হিসাবে মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ সমর্থন বেশি কমলার।
নেভাদা
৬টি ইলেকটোরাল কলেজের রাজ্য নেভাদায় ২০২০ সালে জয় পেয়েছিলেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এই রাজ্যটিতেও বড় ইস্যু অভিবাসন। সেই সঙ্গে রয়েছে হিস্প্যানিক ভোটারদের আধিক্য— রাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, যারা ভোটের ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন। এই রাজ্য যুক্তরাজ্যের মধ্যৌ সবচেয়ে বেশি শহুরেও।
নেভাদার অর্থনীতি অনেক বেশি পর্যটননির্ভর। বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে নেভাদার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। অন্যদিকে আবার এ রাজ্যের বেকারত্বের হারও যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় বেশি।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের সর্বশেষ জরিপে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার সমর্থন নিয়ে এগিয়ে ছিলেন কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন ছিল ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের।
নর্থ ক্যারোলাইনা
১৬টি ইলেকটোরাল কলেজের রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনাতে ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন ট্রাম্পই। জুলাইয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে থাকার সময় পর্যন্ত ট্রাম্প বড় ব্যবধান ধরে রেখেছিলেন। কমলা হ্যারিসের প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে তিনি সমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন, ট্রাম্পের খুব কাছে চলে যান তিনি।
১৯৯০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নর্থ ক্যারোলাইনাতে শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী ছিল ৭৫ শতাংশ। বর্তমানে তাদের সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। অন্যদিকে এই তিন দশকে রাজ্যটির জনসংখ্যাও বেড়েছে ব্যাপক পরিমাণে। ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতিতে এই রাজ্যটি যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের সর্বশেষ জরিপে ২০ অক্টোবরের তথ্য বলছে, ৪৮ শতাংশ ভোটার সমর্থন নিয়ে এ রাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে কমলা হ্যারিসও খুব পিছিয়ে নেই। তার পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোটারের।
পেনসিলভ্যানিয়া
সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল কলেজ পেনসিলভ্যানিয়ায়— ১৯টি। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন বাইডেন। রাজ্যটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় দিনদিন বেড়েই চলেছে।
এদিকে ফ্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে পেনসিলভ্যানিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী রাজ্য। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের এই পদ্ধতি বিতর্কিত হলেও ট্রাম্প দীর্ঘ দিন ধরে এর পক্ষে কথা বলে আসছেন। কমলা হ্যারিস শুরুর দিকে এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবে এখন কঠোর বিধিনিষেধ মেনে তিনিও ফ্র্যাকিং পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার পক্ষে কথা বলছেন।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের ১৯ অক্টোবরের জরিপের এই রাজ্যে কমলা হ্যারিস মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে ছিলেন। এক সপ্তাহ পরের হিসাব বলছে, ট্রাম্প আবার এগিয়ে গেছেন শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সমর্থনে।
উইসকনসিন
১০টি ইলেকটোরাল কলেজের রাজ্য উইসকনসিনে ২০২০ সালের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট বাইডেন। সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে এই রাজ্যেই শ্বেতাঙ্গদের অনুপাত সবচেয়ে বেশি।
গত দুটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইসকনসিনে ভোট পড়ার হার ছিল সবচেয়ে বেশি। দুটি নির্বাচনেই এই রাজ্যে জয়ী প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প ও ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন জয় পেয়েছিলেন। দুইবারই ভোটের ব্যবধান ছিল ২৫ হাজারেরও কম। ফলে এই রাজ্যের প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফাইভথার্টিএইট ডটকমের জরিপ বলছে, অক্টোবরের শুরুতেও ২ শতাংশের বেশি ব্যবধানে এই রাজ্যে ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে ছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে অক্টোবর শেষ হতে হতে সেই ব্যবধান মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৩৮। সে হিসাবে যেকোনো প্রার্থীর জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ইলেকটোরাল কলেজের ম্যাজিক ফিগারটি হলো ২৭০। সেখানে সাতটি সুইং স্টেটের মোট ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৯৩টি। ২০২০ সালের নির্বাচনে সাতটি রাজ্যের মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনা ছাড়া বাকি ছয়টিতেই জয় পেয়েছিলেন বাইডেন। এই ছয় রাজ্যের ৭৭টি ইলেকটোরাল কলেজ তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে বড় ধরনের সহায়তা করেছিল, তা বলাই বাহুল্য।
কমলা হ্যারিসও যদি তার পূর্বসূরী বাইডেনের মতো সুইং স্টেটগুলোতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেন, ভোটের মাঠে শেষ হাসি তিনি হাসতেই পারেন। আর ট্রাম্প যদি গত নির্বাচনের ফল উলটে দিতে পারেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তিনিই এগিয়ে যাবেন অনেকটা।
সারাবাংলা/টিআর
কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ যুক্তরাষ্ট্র রিপাবলিকান পার্টি সুইং স্টেট