Monday 28 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেরোবির সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ৭ জনকে এজাহারভুক্তির নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১১

ফাইল ছবি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেরোবির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ ও প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাত জনকে নতুন করে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।  আবু সাইদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত নতুন করে এজাহারে যাদের নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন তারা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য হাসিবুর রশিদ, তৎকালীন প্রক্টর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, বেগম রোকেয়া বিশ্বদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা (এমএলএসএস) নূরুন্নবী, আবু সাঈদের মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম, সুরতাহাল রিপোর্টে প্রতিস্বাক্ষরকারী রংপুর সদরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ সাদাত।

আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোবর শহিদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী আবু সাইদ হত্যা মামলায় এই সাত জন ব্যক্তিকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এই সাত আসামির সম্পৃক্ততা এবং এজাহারকারীর দাখিল করা আলামত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

এই আইনজীবী জানান, গত ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে মামলা করেন। আসামিরা হলেন— রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়।

এছাড়া, মামলায় আসামি করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দফতর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে। এদের বাইরে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ১৩০ থেকে ১৩৫ জনকে।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডসহ ছাত্র-আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে হামলার দায়ে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদ মন্ডল, সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৭২ শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এ জন্য আমরা দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে যে ৭২ জন শিক্ষার্থীর নাম এসেছে তাদেরও বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তোবা সার্টিফিকেট নিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আমরা শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।’

সারাবাংলা/পিটিএম

অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ এজাহার টপ নিউজ প্রক্টর বেরোবি ভিসি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর