নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৬ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৯
যশোর: যশোর শহরতলীর শেখহাটি আদর্শপাড়া এলাকা থেকে শাহানারা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবলা ও তার মামাতো ভাই সুমন পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহানারা বেগম আদর্শপাড়া এলাকাকার ইজিবাইক চালক আতিয়ার রহমানের স্ত্রী। পলাতক বাবলা ও সুমনের বাড়ি যশোর সদরের তালবাড়িয়া গ্রামে। বাবলার বাবার নাম হোসেন আলী শেখ। সুমনের বাবার নাম জানা যায়নি।
নিহতের স্বামী আতিয়ার রহমান জানায়, বুধবার বিকেলে তিনি ইজিবাইক নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরে ঘরে তালা ও স্ত্রীর ফোন বন্ধ দেখেন। এরপর আতিয়ার তার ছেলে সোহেলকে নিয়ে খুঁজতে বের হন। আত্নীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের তালা ভেঙে দেখেন মেঝেতে গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
আতিয়ার রহমান জানান, তিন মাস আগে তাদের বাড়ির দুটি রুম ভাড়া নেয় ইজিবাইক চালক বাবলা। সে নেশা করতো। যে কারণে এক মাস আগে বাসা ছেড়ে দিতে বলা হয়।
চার-পাঁচদিন আগে বাবলা স্ত্রী-সন্তানকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সে না গিয়ে তার মামাতো ভাই সুমনকে নিয়ে ওই বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে বাবলার সঙ্গে শাহানারা বেগম কথা কাটাকাটি হয়।
স্বামী আতিয়ার বলেন, ‘স্ত্রীর গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দুল ও মোবাইলের জন্য খুন করে পালিয়ে গেছে-ভাড়াটিয়া বাবলা ও তার মামাতো ভাই সুমন।’
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করছি বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবলা ও তার ভাই সুমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মোবাইলফোন ট্রাকিং করা হচ্ছে। তাদের আটক করা গেলে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন সম্ভব হবে। ময়নাতদন্তের জন্যে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এসআর