Thursday 31 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশে কখনও সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছিল না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২০

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রুখে দাও শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, দেশে কখনও সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছিল না। মিথ্যা ইস্যুকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে রূপ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রুখে দাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভাটি প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতো। দেশে এখন আর কেউ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারবে না। দেশে সংখ্যালঘুদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করে লাভ নেই, ওদের ষড়যন্ত্র টিকবে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাদের পতন হয়েছে তারা আর ফিরে আসবে না। হিটলার, নমরুদ যখন ফিরে আসেনি হাসিনা সরকারও ফিরতে পারবে না। তাছাড়া শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরা হলো পলাতক শক্তি। এই দুর্নীতিবাজ লুটেরা মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে না। তাই এরা আর ফিরে আসতে পারবে না।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ আগে বলতো বঙ্গবন্ধু সকল যুদ্ধ করেছে আর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দালালি করেছে। প্রকৃত ইতিহাস এবার লেখা হবে।

তিনি বলেন, এই পলাতক প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র টিকবে না। কারণ এবার সম্মিলিতভাবে সমগ্র জাতি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যে জাতি একবার মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে সেই জাতি আর মাথা নিচু করবে না।

আলোচনা সভায় গনফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগের। সাম্প্রদায়িক সংঘাত কারা করে তা জনগণ জানে। আওয়ামী লীগ সহিংসতা চালিয়ে জামাত-বিএনপির ওপর দায় চাপাত।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুগে যুগে এদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে তাদেরকে মানুষ রুখে দিয়েছে। আজকে দেশ গড়ার সম্ভাবনাময় দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন যথা সময়ে করা যেতে পারে। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। মাঠে এসে আওয়াজ তুলতে হবে। আর বৈষম্য বিলোপ আইন যেন কার্যকরী করা যায়। সরকারকে সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রত্যেকটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার প্রশাসনের ইন্ধন আছে। কোথাও কোন একটা ঘটনা হলেই বলতো, জামাত বিএনপি করেছে। কিন্তু সকল ঘটনার মধ্যে আওয়ামী লীগ ছিল।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুন দে। এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার।

সারাবাংলা/এসবি/এমপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর