এক উপজেলাতেই ২০ ইটভাটা, বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৮
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। বেশিরভাগ ইটভাটাতেই পোড়ানো হচ্ছে কাঁচা কাঠ। এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটা গুলোতে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল না।
প্রায় নিরুপায় হয়েই এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারক লিপি দেন স্থানীয়রা।
বক্তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য ট্রাক্টর,পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক সাধারণ চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে এই সাধারণ চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নীরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদফতর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়েও অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম চলছে।
তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোঁয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন।
আগামী ৭দিনের মধ্যে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাওয়ের এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর