স্ত্রীকে খুন করে মরদেহ নদীতে ফেলার অভিযোগ
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৫ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে স্ত্রীকে খুন করে মরদেহ নদীতে ফেলে গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের কালারপোল ফোরএইচ গ্রুপের কারখানার পাশের খাল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই গৃহবধূর নাম দিলরুবা বেগম পপি (৩৫) বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নগর পুলিশের কর্ণফুলী থানায় আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর ভাই সেলিম উল্লাহ।
অভিযুক্ত আবদুল আলীম (৪০) নগরীর লাভলেইন এলাকার আবেদিন কলোনির বাসিন্দা।
অন্যদিকে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন অভিযুক্ত পপির স্বামী আবদুল আলীম।
জানতে চাইলে মৃত পপির ভাই সেলিম উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১০ সালে আমার বোনের সঙ্গে আবদুল আলিমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই আলিম আমার বোনকে বিভিন্ন ছোটোখাটো বিষয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। আমার বোন এসব বিষয় আমাদের জানিয়েছিল।’
‘পরে আমরা কয়েকবারে সেটা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করি। গত ২৭ অক্টোবর রাতে আলিম আমাদের কল দিয়ে জানায় আমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় আমার বোনের খোঁজ করি৷’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা জানতে পারি কালারপোল ব্রীজের নিচ থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আমার বোনের লাশ শনাক্ত করি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন ছিল। আলিমই আমার বোনকে খুন করে তার লাশ গুম করতে নদীতে ফেলে দিয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আলীম বৃহস্পতিবার রাতে থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সে আমাদের জানিয়েছে তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার পর তার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তারা পপির অনেক খোঁজ করেও পায়নি। পপির লাশ বৃহস্পতিবার শিকলবাহার একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি এখন সেখানে যাচ্ছি।’
কর্ণফুলী থানার ওসি মনির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর