‘আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলা বন্ধ করুন’
১ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা না বলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ’র উদ্যোগে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন চত্বরে ‘জুলাই অভ্যূত্থান’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘গত ১৫ বছরে উন্নয়নের নামে এস আলমসহ কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য লুটপাট, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার, বিনাভোটের নির্বাচন, দমন-পীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম, সন্ত্রাস দেখেছি। এর বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষ ও জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আবার সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি মানুষ চায় না। ফলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সরকার তিন মাসে অনেক সমস্যার সমাধান করবে, এটা আমরা কেউ মনে করি না। কিন্তু শুরুতে সরকারের যে কাজ করা দরকার, তা করছেন কিনা। তা দেখে বলতে পারি, সরকার ঠিক পথে চলছে কী না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি ছিল সরকারের প্রথম কাজ। কিন্তু তিন মাসেও সরকার সেটা করতে পারেনি। দ্বিতীয় কাজ ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা দেওয়া কিন্তু কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলা বন্ধ করুন। যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ, মানুষের মধ্যে এমন হতাশা কাজ করছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহা মির্জা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জি এইচ হাবীব, অধ্যাপক তহুরিন সবুর, কবি ও সাংবাদিক আহমেদ মুনির, আন্দোলনে আহত চবি শিক্ষার্থী শুভ, শ্রমজীবী প্রতিনিধি নূপূর বেগম বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ দশ দফা দাবি জানানো হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এইচআই
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ