‘গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়না ঘরে’
২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১২ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৬
ঢাকা: ‘শেখ হাসিনার আমলে নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়না ঘরে’— এমনটিই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২ নভেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনকালে বিচারকরা রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক তা পার্থক্য করা যেত না। আমরা দেখেছি প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। পৃথিবীতে কোথাও নজির আছে এই ধরনের ঘটনার? কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার, প্রশাসন সব কিছুকে একাকার করেছিলেন। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়না ঘরে অথবা কারাগারে।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। দুইদিন পর পর ঠাকুরগাঁয়ের সীমান্ত, লালমনিরহাটের সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে। ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের উপর ঝুলেছে। কিন্তু, গত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। এতটাই নতজানু ছিল শেখ হাসিনার সরকার।’
রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। যার স্বামী এদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন, তার সহধর্মিণী আপসহী নেত্রীকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল কারাগারে বছরের পর বছর। সেরকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে আর না হয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল হক, কর্নেল (অব.) তৌহিদ পাঠান, কর্নেল (অব.) আব্দুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুল রহমান।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর