অল সোলস ডে: কবরে আলো জ্বালিয়ে প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা
২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩৯ | আপডেট: ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৬
তুমি মৃত্যুঞ্জয় রূপে যুগে যুগে বিরাজমান হও হে প্রভু। ছবি: সারাবাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গোধূলি বেলায় আলো জ্বালিয়ে প্রয়াত স্বজন-প্রিয়জনদের স্মরণ করেছেন চট্টগ্রামের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। কবরের সামনে প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়ে তারা পৃথিবী থেকে তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের জন্য প্রভুর কাছে স্বর্গলাভ প্রার্থনা করেছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত ‘অল সোলস ডে’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গির্জায় মোমবাতি প্রজ্বলনের পাশাপাশি প্রয়াতদের সমাধিতে ফুল ছিটিয়ে প্রার্থনায় শরিক হন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।
প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় সমাগম হয়েছে নগরীর পাথরঘাটায় রাণী জপমালা গির্জার কবরস্থানে। শোকার্ত সমবেত অনেকে স্বজনদের জন্য সম্মিলিত প্রার্থনায় শরিক হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
আলো জ্বালিয়ে প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। ছবি: সারাবাংলা
রাণী জপমালা গির্জায় শোক ও প্রার্থনা সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার। সঙ্গে ছিলেন আরও চার পুরোহিত।
সম্মিলিত প্রার্থনায় আর্চবিশপ সুব্রত হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিবছর ২ নভেম্বর আমরা কবরস্থানে আসি, কবর সাজাই, মোম জ্বালাই। তবে সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৃত আত্মীয়স্বজনের আত্মার জন্য প্রার্থনা করা, তাদের নামে জগতে মঙ্গল কাজ করা। আজ পূণ্যভূমিতে, যে মাটিতে আমাদের প্রিয়জনেরা শায়িত আছেন, সে মাটিতে দাঁড়িয়ে পরমপিতাকে প্রণতি জানাই, যেন তুমি তাদের মাঝ থেকে মৃত্যুর অন্ধকার দূর করে দাও। এই আলো অনন্তশিখার মতো আমাদের অন্তরে প্রজ্বলিত থাকুক।’
আলো জ্বালিয়ে প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। ছবি: সারাবাংলা
‘আমাদের বিশ্বাস এই অনির্বাণ আলোকশিখার দীপ্ত আগুনে কবরে শায়িত আমাদের প্রিয়জনেরা শুদ্ধ হয়ে তোমার সান্নিধ্য লাভ করবে। তুমি মৃত্যুঞ্জয় রূপে যুগে যুগে বিরাজমান হও হে প্রভু। হে জীবনময় পরমেশ্বর, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমাদের সকলকে আশীর্বাদ কর।’
আলো জ্বালিয়ে প্রয়াত স্বজনদের স্মরণ করেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। ছবি: সারাবাংলা
প্রার্থনা শেষে খ্রিষ্ট ভক্তদের জন্য খ্রিষ্টপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। ‘অল সোলস ডে’ উপলক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন গির্জায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
ছবি: শ্যামল নন্দী, স্টাফ ফটোকরেসপন্ডেন্ট
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম
