ডেমোক্র্যাট শিবিরে ট্রাম্প, ভোটারদের ইতিবাচক ইঙ্গিত
২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৫৯ | আপডেট: ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০৭
‘আমরা আশা করে এমন এক সময়ের দিকে তাকিয়ে আছি, যখন শান্তি আসবে। বিশেষ করে লেবানন ও ফিলিস্তিনে শান্তি আসবে। আমি চুপ থাকতে পারি না, যখন ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলা হচ্ছে। রক্তপাত বন্ধে আপনি সাহায্য করুন’— ট্রাম্পের উদ্দেশে আরব বংশোদ্ভুত এক মার্কিন নাগরিক এসব কথা বলেছেন।
মার্কিন নির্বাচনে প্রচারের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১ নভেম্বর) মিশিগান অঙ্গরাজ্যে অ্যারাবিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর ডিয়ারবোর্নে আরব বংশোদ্ভুত আমেরিকানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রচারের শেষে দিকে ট্রাম্প শহরের একটি রেস্তোরায় উপস্থিত হন। সেখানে তাকে উল্লাস ও করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
আরব বংশোদ্ভুত মার্কিনদের একটি বড় অংশ এই শহরে বাস করে। ঐতিহ্যগতভাবে এই এলাকার লোকেরা ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে আসে। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিল। তবে এরাবের দৃশ্যপট ভিন্ন। গত বছর গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর অনেকেই বিরক্ত। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনায় তারা এই প্রশাসনকে দায়ী করছেন।
রেস্তোরায় উপস্থিত অ্যালবার্ট আব্বাস বলেন, ‘আমাদের দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং সবার জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বজায় রাখার সময় এসেছে। বর্তমান এই প্রশাসন মানবতার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে।’ পরে ট্রাম্প সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি লেবাননের অনেক লোককে চিনি। আমাদের এই পুরো সংঘাতকে শেষ করতে হবে। আমরা শান্তি চাই, আমরা পৃথিবীর সর্বত্র শান্তি চাই।’
শহরটিতে অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা আছেন যারা এখনো কমলাকে সমর্থন দেননি। তবে তারা এখনো ট্রাম্পকে সমর্থন করার কথাও ভাবেছে না। তারা বলছে, ‘আমরা ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ভুলে যাইনি।’ তাদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ইসরায়েলকে আরও বেশি সুবিধা করে দিতে পারে।
স্থানীয় এক বিশিষ্ট ব্যক্তি সিব্লানি, যিনি বারবার হামাসের প্রশংসা করেছেন এবং চলমান উত্তেজনা সম্পর্কে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অতীতের অনেক নীতির কারণে ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা যাবে না। তবে ট্রাম্পের ভ্রমণের তাৎপর্য রয়েছে। কমলার আরও আগে এই শহরে ভ্রমণ করা উচিত ছিল।’
স্থানীয় নেতা ওসামা সিব্লানির মতে, ‘নির্বাচনি প্রচার শুরু হওয়ার পর ট্রাম্পের সফরের মাধ্যমে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রথম এই শহরে ভ্রমণ করলেন। এর আগে, এই বছরের শুরুর দিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এই সম্পদায়ের উত্তেজনা কমানোর জন্য শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র আবদুল্লাহ হামুদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে সেই সাক্ষাৎ এই শহরের বাইরে হয়।
কমলা হ্যারিস শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই ইস্যুতে বলেছেন, ‘আরব বংশোদ্ভুত মার্কিন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়ে আমি গর্বিত। আমি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি।’
সারাবাংলা/এইচআই/পিটিএম