বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ২ প্রেমিকার অনশন
৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৪
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় এক তরুণকে বিয়ে করতে অনশন করেছেন দুই তরুণী। শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে ইকরামুল হকের ছেলে শাহিনকে বিয়ে দাবিতে অনশন করেন তারা।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান করেন।
এদিকে রুনা খাতুনের খবর পেয়ে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এরপর এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সঙ্গে শাহিনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তাদের দুই জনের পরিবারও তাদের বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহিন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় রুনার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে উঠেন।
অন্যদিকে, গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহিনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে বিয়ের দাবিতে। এমন ঘটনায় শাহিন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী।
রুনা বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহিন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার তাকে আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি শাহিনের বাড়িতে আসছি। আমি ওকেই বিয়ে করব। শাহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে আমার কোনো সমস্যা নেই।
অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলেন। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। শনিবার আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালবাসি। আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে। তাদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এখন নেই। তবে তারা যেহেতু আমাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে এসেছে, তাদের দুইজনকে বিয়ে করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি দুইজনকেই বিয়ে করতে রাজি।’
হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে শাহিন বিয়ে করেছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর