জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নিয়ে অপপ্রচার চলছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধক এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের জাতীয় পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একথা বলেন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জরায়ু ক্যানসার রোধে কার্যকরী এইচপিভি টিকা নিয়ে নানারকম অপপ্রচার চলছে, নানারকম কথাবার্তা হয়েছে। আমি মনে করি, অপপ্রচার সবসময় থাকে। একসময় আমরা যখন ফ্যামিলি প্লানিং নিয়ে কাজ করেছি, ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছি, তখনও অপপ্রচার ছিল। অপপ্রচার রুখে দেবার শক্তি হচ্ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এটার ওপর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। মানুষ যদি সচেতন হয়, তাহলে যেদিক থেকে বাধা আসুক না কেন, তা অতিক্রম করা সম্ভব।’
তবে এর মধ্যেও এইচপিভি টিকা কার্যক্রমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পঁচিশ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় বাকি সময়ের মধ্যে আমরা ৯০ শতাংশ টিকা দেয়া সম্পূর্ণ করতে পারব।’
ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে আমরা দেশের প্রত্যেকটা হাসপাতালে-ক্লিনিকে বিশেষভাবে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রত্যেকটা হাসপাতালে ডেঙ্গু বিষয়ে ফোকাল কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আলাদা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আপনারা যদি তুলনা করে দেখেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক কম। তাই বলে আমরা থেমে নেই। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরো কমানো যায়।’
‘এটা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। আমরা ছাত্র-জনতা প্রত্যেকেই যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসি, যেখানে যেখানে ময়লা আবর্জনা, পানি জমে থাকে এবং মশার উপদ্রব হবার স্থানগুলো পরিষ্কার রাখি, তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব। এজন্য সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা ছাত্র-জনতাসহ প্রত্যেকই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে ডায়রিয়া,কলেরার মতো ডেঙ্গুর প্রকোপও একসময় কমে যাবে।’
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ডা. চিরঞ্জিত দাস, ইউনিসেফের চিফ এসবিসি সেকশন প্রতিনিধি মিস ব্রিজেত জব জনসন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমা।
এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল বিভাগ ও অধিদফতর, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং কওমি মাদরাসার প্রতিনিধিরা সভায় ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর