Wednesday 13 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খাল কেটে মাটি বিক্রি, সড়ক ভেঙে সর্বনাশ

মনিরুল ইসলাম, লোকাল করেসপন্ডেন্ট
৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০

খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় পাকা সড়ক ভেঙে পড়েছে। ছবি: সারাবাংলা।

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় জনগুরুত্বপূর্ণ একটি পাকা সড়ক ভেঙে পড়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও একটি সড়ক। বর্তমানে খাল ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। এমন কাণ্ডে এখনই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আশপাশের বসতিরা, ব্যাহত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। যে কারণে সড়কের বেশকিছু অংশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। ফাটল ধরেছে আরও কিছু অংশ।

টিয়াখালী ইউনিয়ানের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সড়ক। সড়কটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সানী ও ফেরদাউস নামের দুই প্রভাবশালীর লোভের কারণে খাল ও সড়কের এমন পরিস্থিতি। তারা খালের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে ওই খালে মাছ চাষ করেন। সম্প্রতি তাদের দুই জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে খালে বাঁধ দিয়ে পানি সেচ করে মাছ ধরছেন ফেরদাউস। যে কারণে ভাঙছে।

অভিযুক্ত সানী কলাপাড়ার নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মনু মীরার ছেলে। অপর অভিযুক্ত ফেরদাউস দীর্ঘদিন থেকে রজপাড়ায় বসবাস করলেও তার বাড়ি মাদারীপুরে।

শনিবার (২ নভেম্বর) স্থানীয়রা খাল ও সড়কের ভাঙন দেখে পানি সেচে বাঁধা দেয়। বাঁধা তোয়াক্কা না করে পানি সেচ করলে প্রায় ২৫০ ফুট পাকা রাস্তা খালে ভেঙে পড়ে। আশপাশে দেখা দিয়েছে ফাটল।

বিজ্ঞাপন

এলাকার বাসিন্দা মো. মাহবুব মিয়া বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে পানির পাম্প বসিয়ে মাছ ধরছে। এদিকে, খালে পানি কমতে থাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাস্তাসহ আশপাশের এলাকা খালের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে গেছে। গভীর ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কারণে আতঙ্কে আছি। আমরা এর প্রতিকার চাই।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে অভিযুক্ত ফেরদাউস সারাবাংলাকে বলেন, সানীর কাছে টাকা পাওনা আছি যে কারণে মাছ ধরছি। মাছ ধরার কারণে রাস্তা ভাঙছে কিনা তা আমি জানি না।

সানী বলেন, খালের পানি সেচ করলে রাস্তা ভেঙে পড়তে পারে এমন সতর্ক করলেও সে আমার কথা শুনেনি। পানি সেচ করে মাছ ধরছে। রাস্তা ভেঙে পড়ার জন্য সে দায়ি।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। অবৈধভাবে সরকারি খালের মাটি কেটে নেওয়ায় সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারাবাংলা/এসআর

কুয়াকাটা মাটি বিক্রি সড়ক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর