এবার কমলার মুখে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি
৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০
আরব বংশোদ্ভুত মার্কিনদের একটি বড় অংশ বাস করে মিসিগান অঙ্গরাজ্যে। গত বছর গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর এই সম্প্রদায়ের অনেকেই বিরক্ত। তাই প্রচারে শেষ মুহূর্ত এসে এই অংশে প্রচারণা চালাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
রোববার (৩ নভেম্বর) মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তিনি বলেন, ‘গাজা যুদ্ধ ধ্বংসাত্মক এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুদ্ধ বন্ধে আমি আমার ক্ষমতার মধ্যে সব কিছু করব। ’
রোববার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঐতিহ্যগতভাবে এই এলাকার লোকেরা ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে আসে। ২০২০ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিল। তবে এরাবের দৃশ্যপট ভিন্ন। গাজা ইস্যুতে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর তাদের ক্ষোপ জমেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের প্রতি সমর্থনের জন্য মিশিগানে আরব আমেরিকান ভোটারদের কমলার ওপর ক্ষোভ ছিল। তবে এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এবার বলেছেন, ‘গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মাত্রা এবং লেবাননে বেসামরিক হতাহত ও বাস্তুচ্যুতির কারণে এই বছরটি কঠিন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে, গাজার দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে, ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিতে কাজ করব।’
এর আগে, কমলা শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই ইস্যুতে বলেছিলেন, ‘আরব বংশোদ্ভুত মার্কিন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেয়ে আমি গর্বিত। আমি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি।’ যদিও এর আগে কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে।
অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১ নভেম্বর) মিশিগান অঙ্গরাজ্যে অ্যারাবিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর ডিয়ারবোর্নে আরব বংশোদ্ভুত আমেরিকানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন । সেখানে তাকে উল্লাস ও করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
সেখানে উপস্থিত অ্যালবার্ট আব্বাস বলেন, ‘আমরা আশা করে এমন এক সময়ের দিকে তাকিয়ে আছি, যখন শান্তি আসবে। বিশেষ করে লেবানন ও ফিলিস্তিনে শান্তি আসবে। আমি চুপ থাকতে পারি না, যখন ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলা হচ্ছে। রক্তপাত বন্ধে আপনি সাহায্য করুন।’ পরে ট্রাম্প সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি লেবাননের অনেক লোককে চিনি। আমাদের এই পুরো সংঘাতকে শেষ করতে হবে। আমরা শান্তি চাই, আমরা পৃথিবীর সর্বত্র শান্তি চাই।’
সারাবাংলা/এইচআই