যমুনা ফিউচার পার্কে যুবকের আত্মহত্যা
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৭
ঢাকা: রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আরমান হোসেন (১৮) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে আরমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় ভাটারা থানা পুলিশ।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পরে আরমান। পরে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে সে মারা যায়।
ভাটারা থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আরমান নামের ওই যুবক। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে তার আত্মহত্যা করার পেছনে কোন কারণ নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং পরিবারটিও অসচ্ছল। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এদিকে, আরমানের চাচাতো ভাই মো. রোকন বলেন, ‘আরমানের বন্ধু স্বাধীন বিদেশ যাওয়ার উপলক্ষে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে যমুনা ফিউচার পার্কে যান গতকাল বিকেলে। সাথে করে আরমানকে নিয়ে যায়। আরমানকে বাইরে বসিয়ে স্বাধীন ফিঙ্গারপ্রিন্টের দিতে ভেতরে ঢুকে। এর কিছুক্ষণ পর আরমান স্বাধীনকে ফোন দিয়ে বলে, ‘আমাকে আর পাবি না বন্ধু। আমার মামাতো ভাই রুবেলকে বলিস আমার মাকে দেখে রাখতে।’ এই বলে ফোন কেটে দেয় আরমান। পরে সে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিছে সে বিষয়ে আসলে আমাদের কিছুই জানা নেই। তবে আরমান উগ্র মেজাজী ছিল। সে মোবাইলে আসক্ত ছিল। প্রতি বছর নতুন মোবাইলের চাহিদা ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার এতোটা স্বচ্ছল ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মশাদিয়া গ্রামে। পরিবারেরর সাথে রামপুরা হাজীপাড়ায় থাকতো। আরমান নতুনবাজার মামা ইলিয়ান তালুকদার রানার ভাতের হোটেলে কাজ করতো। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ বাবা রেনু মিয়ার ভাঙারির দোকানে কাজ করছিল। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল আরমান। আরমানের মা শামছুজ্জামান বেশ অসুস্থ। বেশ কয়েকদিন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিল। বর্তমানে তিনি বাসায় আছেন।’
সারাবাংলা/এসএসআর/এইচআই